নিজস্ব প্রতিনিধি: নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) নন, মোদি সরকার(Modi Government) নয়, বিজেপিও(BJP) নয়। সোনিয়া গান্ধি(Sonia Gandhi) – রাহুল গান্ধি(Rahul Gandhi) নন, কংগ্রেসও(INC) নয়। বামপন্থীরা না। বাংলার ক্ষতিগ্রস্থ আলু চাষিদের(Potato Farmers) পাশে দাঁড়াচ্ছেন সেই বাংলার অগ্নিকন্যা, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। রাজ্যের ১১টি প্রধান উৎপাদক জেলার চাষিদের থেকে সাড়ে ৬টাকা কেজি দরে ১০ লক্ষ টন জ্যোতি আলু কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতর। আগামী ৭ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই আলু কেনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন মমতার মাস্টারস্ট্রোক, বাংলার হয়ে বার্লিনে নন্দিনী
জানা গিয়েছে, এবারে আলুর ব্যাপক ফলন হয়েছে কিন্তু ক্রেতা নেই। তাই বাজারে আলুর চড়া দর বজায় থাকলেও মাঠে আলু চাষিরা দাম পাচ্ছেন না তাঁদের উৎপাদিত ফসলের। এর ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আলু চাষিরা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে নবান্নে খবর এসেছিল যে খোলা বাজারে নতুন আলুর জন্য কেজি প্রতি ৬ টাকাও দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। সেই খবর মুখ্যমন্ত্রীর কানেও গিয়েছিল। ফলনের জেরে দাম পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্যের কৃষি দফতর। সিদ্ধান্ত হয়েছে একজন চাষি রাজ্য কৃষি দফতরকে সর্বোচ্চ ২৫ কুইন্টাল আলু বিক্রি করতে পারবেন। আলু বিক্রি করতে ইচ্ছুক সেই সব চাষিদের তালিকা তৈরি করবেন BDO’রা। পাশাপাশি কৃষকবন্ধু প্রাপকদের তালিকা, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, জমির মালিকানার কাগজ প্রভৃতি যাচাই করে তালিকা সংশ্লিষ্ট হিমঘরে পাঠিয়ে দেবে ব্লক প্রশাসন। সরকার আলু ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়ার এবার চাষিদের আয় বাড়বে। তাঁরা তাঁদের উৎপাদিত ফসলের যথা যোগ্য দামও পাবেন।
আরও পড়ুন গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী
অন্যদিকে রাজ্যের কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আলু কেনার জন্য হিমঘর মালিকরা সমবায় ও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেবেন। চাষিদের কাছ থেকে কেনা আলুর দাম, ঋণ বাবদ সুদ এবং হিমঘর মালিকদের ১০ শতাংশ লাভ ধরে বিক্রির দাম ঠিক হবে। প্রতি কেজি ৭ টাকা ৬৭ পয়সা ন্যূনতম বিক্রয় মূল্য ধার্য করেছে রাজ্যের কৃষি দফতর। আলুর বিক্রয় মূল্য এর থেকে কম হলে সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে। নিজের প্রয়োজনে এই আলু রাজ্য কিনলে দাম দেওয়া হবে প্রতি কেজিতে ১১ টাকা ৩০ পয়সা।