নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) রাজ্যে যে সব আর্থসামাজিক প্রকল্প চালু করেছেন তার মধ্যে অন্যতম হল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প(Sasthasathi Project)। সেই প্রকল্পের মাধ্যমেই দেখা যাচ্ছে গত ৬ বছরে বাংলার(Bengal) প্রবীণ মানুষেরা(Senior Citizens) এখনও পর্যন্ত ১৩৩১ কোটি টাকার চিকিৎসা বিনামূল্যে পেয়েছেন। উপকৃত হয়েছেন ৮.৯ লক্ষ প্রবীণ মানুষ। বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন রাজ্যের ৯ কোটির বেশি মানুষ। তার মধ্যে ৯২ লক্ষই হলেন প্রবীণ নাগরিক। এখন সেই প্রবীণ মানুষেরা মমতার স্বাস্থ্যসাথীর মাধ্যমে কতটা উপকৃত হয়েছেন সেটাই সামনে নিয়ে এসেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর(Health Department)।
আরও পড়ুন স্পর্শহীন আধারের সুবিধা, ঘরে বসেই Authentication
মজার কথা এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প যখন চালু হয়েছিল তখন কিন্তু বাংলার অনেক মানুষই এই প্রকল্পের উপকারিতা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। তা সে নিম্নবিত্ত হোন কী মধ্যবিত্ত কিবা উচ্চবিত্ত। মূলত তৃণমূল বিরোধী মানুষেরাই এই প্রকল্পের রূপায়ণ ও উপকারিতা নিয়ে সন্দিগ্ধ ছিলেন। এছাড়া তো ছিল বিরোধী রাজনৈতিকদলগুলির নিরন্তর মিথ্যা অপপ্রচার। যা এখনও বহাল রয়েছে। তবে দেখা যাচ্ছে আমজনতা এখন দেখতে পাচ্ছেন, বুঝতে পারছেন, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যেই চিকিৎসার পরিষেবা পাওয়া যায়। তাই ধনী থেকে দরিদ্র, মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত, তৃণমূল সমর্থ থেকে তৃণমূল বিরোধী সবাই এগিয়ে এসে এই প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন সবচেয়ে গরিব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কত টাকার সম্পত্তি জানেন?
রাজ্যের স্বাস্থ্যদফতরের আধিকারিকদের দাবি, দিনে ষাটোর্ধ্বদের স্বাস্থ্যবিমার প্রশ্ন উঠলেই হাত তুলে দেয় অধিকাংশ বিমা কোম্পানি। অথবা মোটা অঙ্কের বার্ষিক প্রিমিয়ারের কথা বলে। সেখানে ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের এখনও পর্যন্ত ১৩৩১ কোটি টাকার চিকিৎসা বিনামূল্যে পেয়েছেন শুধুমাত্র বাংলার প্রবীণরাই! চিকিৎসা করিয়ে সরাসরি উপকৃত হয়েছেন ৮.৯ লক্ষ প্রবীণ মানুষ। কারও বয়স ৬০ পেরিয়ে গেলে তাঁর স্বাস্থ্যবিমা বা মেডিক্লেম করতে চায় না কোনও সংস্থা। কিছু ক্ষেত্রে বিমা সংস্থা রাজি হলেও চাপিয়ে দেওয়া হয় নানা শর্ত ও নিয়মের বোঝা। আপনার ডায়ালিসিস হচ্ছে? ক্যান্সার আছে কি? সুগার সদ্য ধরা পড়েছে, নাকি আছে দীর্ঘদিন ধরে? ছুটে আসে এমন হাজারও প্রশ্ন। এরপর আসে মোটা অঙ্কের প্রিমিয়াম জমা দেওয়ার শর্ত। অধিকাংশ নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত পরিবার সেই বিপুল টাকা প্রিমিয়াম হিসেবে দিতে অক্ষম। সেই জায়গায় মুশকিল আসান হয়ে পাশে দাঁড়াচ্ছে স্বাস্থ্যসাথী।