নিজস্ব প্রতিনিধি: বিধায়কের(MLA) বাড়িতে টানা ৪দিন ধরে ঘাঁটি গেড়ে পড়ে ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া নানা মিডলম্যান ও এজেন্টদের(Middle Man and Agent)। একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় চাকরি না পাওয়া প্রার্থীদেরও। আর তার জেরেই উঠে আসে মুর্শিদাবাদের বড়ওয়ান বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার(Jiban Krishna Saha) নাম। তাঁর বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে CBI’র হানাদারি ও তারপরের যাবতীয় ঘটনাক্রম দেখে বোঝাই যাচ্ছিল, জীবনের গ্রেফতারি শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা মাত্র। সেই গ্রেফতারি পর্ব সোম ভোরেই সংগঠিত হয়েছে। সেই সঙ্গে সূত্রে জানা গিয়েছে, একা জীবনেই থেমে থাকছে না গ্রেফতারি পর্ব। রাজ্যের আরও ১২জন বিধায়ক এখন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরে। সকলেই তৃণমূল বিধায়ক(TMC MLA)।
আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া, বন্ধ বেসরকারি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়
সূত্রে জানা গিয়েছে, জীবনকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়েই রাজ্যের আরও ১২জন তৃণমূল বিধায়কের নাম উঠে এসেছে যারা এই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত। বেশ কিছু চাকুরীপ্রার্থী, এজেন্ট, মিডলম্যানদের জেরাতেও এই সব বিধায়কের নাম উঠে এসেছে। মনে করা হচ্ছে এই ১২জন বিধায়ককে খুব শীঘ্রই জেরা করতে ডাকবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকি এক্ষেত্রে জীবনের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। অর্থাৎ কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে হুট করে বাড়িতে গিয়ে হানাদারি এবং তারপর জেরা, পরিশেষে গ্রেফতারি। জীবনকে রবিবার মাঝরাতে গ্রেফতার করে এদিন সকালে সড়কপথে কলকাতায় নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখানে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে তাঁকে তোলা হবে আলিপুর আদালতে। আপাতর বিধায়ককে নিজেদের হেফাজতেই চাইবে CBI। কিন্তু তারপর হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর আধিকারিকেরা। আরও যে ১২জন বিধায়কের নাম উঠে এসেছে এই নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় তাঁদের একে একে পাকড়াও করতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন পূর্ব রেলের কর্মীদের কাজ নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
জানা গিয়েছে যে ১২জন তৃণমূল বিধায়কের নাম এই ঘটনায় উঠে এসেছে তাঁদের মধ্যে কলকাতার ১জন, হাওড়ার ১জন, হুগলির ১জন, দুই ২৪ পরগনা জেলার ২ জন করে, পূর্ব বর্ধমান জেলার ২জন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ১জন এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ২জন বিধায়ক রয়েছেন। তবে জীবনের যে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়েছে সেটি এদিন সকাল পর্যন্ত যেমন অন করাই যায়নি, তেমনি দ্বিতীয় মোবাইল ফোনটিও এদিন সকাল পর্যন্ত খুঁযে পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিক ভাবেই এই জায়গায় কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI।