নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে লাগাতার মুখ পুড়ে চলছে ‘মান্ধাতার আমলে’ থাকা মোদি সরকারের। কট্টরপন্থী তথা রক্ষণশীল হিন্দুগুরুদের খুশি রাখতে সমলিঙ্গের বিয়েকে ‘শহুরে অভিজাত শ্রেণির চিন্তাধারা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কেন্দ্র। বুধবার শুনানিতে এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় কিছুটা বিদ্রুপাত্মক কণ্ঠে বলেন, ‘সমলিঙ্গের বিয়ের ভাবনা শুধুমাত্র শহুরে ভাবনাচিন্তা এটা প্রমাণ হবে কিসের ভিত্তিতে? এ বিষয়ে কী কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে? তাহলে কিসের ভিত্তিতে এ ধরনের যুক্তি উত্থাপন করা হচ্ছে?’
এদিন দ্বিতীয় দিনের শুনানির শুরুতেই কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, ‘সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে রাজ্য সরকারগুলির মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলিকেও এ বিষয়ে নোটিশ জারি করে মতামত জানতে চাক শীর্ষ আদালত।’ যদিও তাঁর ওই ধাপে ধোঁপে টেঁকেনি। সমলিঙ্গের বিয়ের স্বীকৃতির দাবি জানানো আবেদনকারীদের তরফে মুকুল রোহাতগি বলেন, ‘আদালত এ বিষয়ে যে রায় দেবে, সমাজ তা মেনে নেবে।’ সমলিঙ্গের বিয়েকে মান্যতা দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ের জন্য ছেলেদের বয়স ২১ ও মেয়েদের বয়স ১৮ ধার্য করা হয়েছে। সমলিঙ্গে ছেলেদের সঙ্গে ছেলেদের বিয়ের জন্য ২১ বছর এবং মেয়েদের সঙ্গে মেয়েদের বিয়ের জন্য ১৮ বছর ধার্য করা যেতে পারে।’
শুনানির এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে সমাজ অনেক বদলেছে। সমাজ সমলিঙ্গধারীদের স্বীকার করে নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার স্বীকৃতি মিলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুমাত্র শহুরের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে না। মফঃস্বল থেকেও বহু পড়ুয়া আসেন। ফলে সমলিঙ্গের বিয়ে শুধু শহুরে ভাবনাচিন্তা এটা ভাবার কারণ নেই।’