নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার নিরিখে বিশ্বের উষ্ণতম শহরের(Warmest Town) তালিকায় সপ্তম স্থান পেল বাংলার বাঁকুড়া(Bankura) শহর। এলডোরাডো ওয়েদার ওয়েবসাইট বৃহস্পতিবার অর্থাৎ এদিন একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে ভারতের বেশ কয়েকটি শহর রয়েছে। সেখানেই নাম রয়েছে বাঁকুড়ারও। গরমে পুড়ছে কলকাতাও(Kolkata)। মজার কথা অষ্টম স্থানে যে শহরের নাম রয়েছে তার সঙ্গে বাংলার ঝাড়গ্রামের(Jhargram) নাম নেই। কিন্তু দুটি শহরের তাপমাত্রা একই দিনে সর্বোচ্চ স্তরে উঠে উঠেছিল। তবে মহানগরের জন্য সুখবর আছে। শনিবার ও রবিবার পর পর দুই দিন বৃষ্টিতে(Rain) ভিজতে পারে বাংলার রাজধানী।
আরও পড়ুন ঈদের কলকাতায় বাড়তি নিরাপত্তা, থাকবে সাড়ে ৩ হাজার পুলিশ
এলডোরাডো ওয়েদার ওয়েবসাইটের তালিকায় গত ২৪ ঘন্টার নিরিখে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার মুখ দেখেছে বিশ্বের এমন ১৫টি শহরের নাম উঠে এসেছ। তাতে দেখা যাচ্ছে ভারতের ৬টি শহর রয়েছে। বাংলার বাঁকুড়া তাদেরই মধ্যে একটি। তালিকায় থাকা প্রথম দুইটি শহর আবার ভারতেরই প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারের চাউক এবং নিয়াউং শহর দুটি। গত ২৪ ঘণ্টায় দুই শহরেই তাপমাত্রা পৌঁছায় ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে নাইজেরিয়ার মাইনে সোরাও। সেখানে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪৪.৬ ডিগ্রি। চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে মোট ৫টি শহর। তার মধ্যে আছে ভারতের এলাহাবাদ, বারিপদা ও খাজুরাহো। ৩টি শহরেই ৪৪.৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। সপ্তম স্থানে আছে ভারতের দুটি শহর, বাংলার বাঁকুড়া ও ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর। দুটি শহরেই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এলডোরাডো ওয়েদার ওয়েবসাইটে বাংলার ঝাড়গ্রামের নাম নেই। কিন্তু সেখানে অষ্টম উষ্ণতম শহর হিসাবে উঠে এসেছে ভারতেরই বোলাঙ্গির। সেখানে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪৪ ডিগ্রি। ঝাড়গ্রামেও কিন্তু ৪৪ ডিস্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে গতকাল।
আরও পড়ুন প্রতীচীর দখল রুখতে পুলিশ দিয়ে ঘেরার পরিকল্পনা মমতার
মৌসম ভবন আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছিল, এবছর এপ্রিল থেকে জুন মাসে যাবতীয় পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে গরম। দেশের বেশিরভাগ অংশে তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। গত কয়েক দিনের তীব্র দাবদাহ সেকথাই প্রমাণ করে চলেছে। প্রকৃতির সেই রুদ্র রূপেই বিশ্বরেকর্ড করে ফেলল বাংলার বাঁকুড়া শহর। দক্ষিণবঙ্গ-সহ রাজ্যের অন্য এলাকাগুলিও ফুটন্ত গরমে পিছিয়ে নেই। গতকাল ঝাড়গ্রামে তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি। পুরুলিয়ায় ৪৩.১, খড়গপুরে ৪৩, দুর্গাপুরেও ৪৩, আসানসোলে ৪২, কৃষ্ণনগর ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড ছুঁয়েছে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গের আট জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও তালিকায় নাম ছিল না কলকাতার। ফলে কলকাতাবাসীকে স্বস্তির বৃষ্টির আশায় চাতক পাখির মতো আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি সুখবর দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তাঁরা জানিয়েছে, বলছে, শনিবার অর্থাৎ ঈদের দিন এবং রবিবার দক্ষিণবঙ্গের আট জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। এই আট জেলা ছাড়াও বাকি জেলাতেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে সোম-মঙ্গলবার। শুক্রবার থেকে রবিবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামে। রবিবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায়।