নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করলে বিজেপি যে অপরাজেয় নয় সদ্য সমাপ্ত কর্নাটক বিধানসভার ভোটেই তার প্রমাণ মিলেছে। শত্রুতাকে শিঁকেয় তুলে দক্ষিণী রাজ্যটিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েই লড়াই চালিয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া ও ডি কে শিবকুমার। ফলও মিলেছে হাতে-হাতে। কর্নাটক বিজয়ের মডেলকে হাতিয়ার করে মরুরাজ্য রাজস্থানে ঘরোয়া কোন্দল বন্ধ করতে চান কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। আর তাই আজ সোমবারই রাজ্য কংগ্রেসের দুই যুযুধান শিবিরের নেতা মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত ও প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলটের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তিনি।
চলতি বছরের শেষের দিকেই রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। লোকসভা ভোটের আগে দলের নিচুতলার কর্মীদের উজ্জীবিত করতে মরুরাজ্যের ক্ষমতা দখলে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু গত মাসখানেক ধরেই বেসুরো গাইছেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলট। দুর্নীতি ইস্যুতে নিজের দলের সরকারের বিরুদ্ধেই রাস্তায় নেমেছেন। শুধু তাই নয়, বসুন্ধরা রাজের নেতৃত্বাধীন পূর্বতন বিজেপি সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন। আর দলের দুই নেতার লড়াই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছনোয় যথেষ্টই অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।
তাই ঘরোয়া কোন্দল ধামাচাপা দিতে উদ্যোগী হয়েছেন খোদ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। আজ সোমবারই দুই নেতাকে আলাদা-আলাদাভাবে তলব করেছেন। সূত্রের খবর, দুই নেতাকেই নিজেদের লড়াই বন্ধ করে এখন থেকে বিধানসভা ভোটের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেবেন কংগ্রেস সুপ্রিমো। সেই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলে বিতর্কিত কথা বলে দলের অস্বস্তি না বাড়ানোরও পরামর্শ দেবেন তিনি। দল যে গোষ্ঠীকোন্দলকে বরদাস্ত করবে না, সেই বার্তাও পরিস্কারভাবে দিতে চাইছেন কংগ্রেস সভাপতি।