নিজস্ব প্রতিনিধি: ঢাকার আবাহনীকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এএফসি কাপের মূল পর্বে পৌঁছে গেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। মঙ্গলবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সবুজ-মেরুনের হয়ে গোল করেন জেসন কামিংস ও আর্মান্দো সাদিকু। অন্য গোলটি আবাহনীর মিলাদ শেখের আত্মঘাতী। অন্য দিকে ঢাকা আবাহনীর হয়ে গোল করেছেন কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট।
ম্যাচের শুরু থেকেই জয়ের জন্য ঝাঁপায় দুই দল। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলা জমে ওঠে। শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল বাগানের। লিস্টন কোলাসোর পাস থেকে বক্সের মধ্যে বল পান কামিংস। কিন্তু গোল করতে পারেননি তিনি। ১৭ মিনিটে কর্নার পায় আবাহনী। কর্নার থেকে পাওয়া বল হেড করে মোহনবাগানের জালে পাঠানোর চেষ্টা করেন ঢাকার দলটির এক খেলোয়াড়। কিন্তু ওই বল মোহনবাগানের গোলরক্ষকের হাত ফস্কে বেরিয়ে যায়। আবাহনীর কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি। পিছিয়ে পড়ে ঢাকার দলটির উপরে চাপ বাড়াতে থাকে মোহনবাগান। কিন্তু জেসন কামিন্স, সাহালদের আক্রমণ ভালোই রুখে দিচ্ছিল আবাহনীর রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড়রা। কিন্তু ৩৫ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের ভেতর মোহনবাগানের লিস্টন কোলোসোকে ফাউল করেন সুশান্ত ত্রিপুরা। পেনাল্টি উপহার পায় মোহনবাগান। অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ড কামিন্স গোল করে সমতা ফেরান। তার পরে দুই দলই বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ পেয়েছিল। যদিও কাজে লাগাতে পারেনি। বিরতির সময় খেলার ফলাফল ছিল ১-১।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আরও বেশি আগ্রাসী হয় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। কামিন্স, কোলাসোদের মুহুর্মুহু আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে আবাহনীর রক্ষণভাগ। কিছুটা ভুল করতে থাকে সুশান্ত ত্রিপুরা-মিলাদ শেখরা। কার্যত অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করে ঢাকার দলটি। শেষ পর্যন্ত ৫৮ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে থেকে প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে শট মারেন হুগো বুমোস। সেই বল বিপন্মুক্ত করতে নিয়ে নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন আবাহনীর মিলাদ। ফলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। দু’মিনিট পরেই কর্নার থেকে ব্যবধান বাড়ান আরমান্দু সাদিকু। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে মোহনবাগান।আর সবুজ মেরুনের কাছে হেরে এএফসি কাপ থেকে ছিটকে গেল আবাহনী।