নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: জি-২০ সম্মেলন সফলভাবে আয়োজন করার মাধ্যমে গোটা বিশ্বের কাছে ভারতের মাথা উঁচু হয়েছে। গোটা বিশ্বে ভারতকে নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সোমবার সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরুর পরে লোকসভায় প্রথম ভাষণে এমনটাই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সংসদের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিনি বলেন, ‘সংসদের পুরনো ভবনের সঙ্গে জড়িত অনেক ইতিহাস। অনেক ঐতিহাসিক বিল পাশ হয়েছে। অনেক স্বপ্ন পূরণ করেছে। হয়তো এই ভবন বিদেশি শাসকরা নির্মাণ করেছেন। কিন্তু অর্থ, পরিশ্রম-সব এ দেশের মানুষের। ঐতিহাসিক ভবন থেকে চলে যেতে গিয়ে হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। অনেক পুরনো স্মৃতি মনে পড়ছে। কিন্তু কী করা যাবে! পুরনোকে ছেড়ে নতুনকে বরণ করাটাই কালের নিয়ম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়াই জগতের নিয়ম। পুরনো সংসদ ভবন ছেড়ে আমরা চলে যাচ্ছি ঠিকই। কিন্তু আগামী প্রজন্মের কাছে পুরনো ভবন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়াবে।’
কথায়-কথায় যার সমালোচনা করাটা বিজেপি নেতৃত্বের স্বভাভ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই পণ্ডিত জহরলাল নেহরুর কথাও এদিন মোদির ভাষণে উঠে এসেছিল। তিনি বলেন, ‘পণ্ডিত নেহরু থেকে শুরু করে মনমোহন সিং, বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদ থেকে রামনাথ কোবিন্দজি এই সংসদে দাঁড়িয়ে আমাদের পথ দেখিয়েছেন। নতুন দিশা দেখিয়েছেন।’ প্রথমবার লোকসভায় সাংসদ হিসাবে প্রবেশের মুহুর্তের কথা বলতে গিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। ভাবাবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি ২০১৪ সালে প্রথমবার যখন সাংসদ হিসেবে গণতন্ত্রের মন্দিরে প্রবেশ করেছিলাম, তখন পবিত্রভূমিকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেছিলাম। একজন চা ওয়ালার বেটাকেও এই সংসদ ভবন নিজের কোলে জায়গা দিয়েছিল। সংসদের প্রতি মানুষের বিশ্বাস বেড়েছে।’