নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মোদি জমানায় দেশজুড়ে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের উত্থান ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই ভয়াবহভাবে বেড়ে চলেছে ঘৃণা ভাষণ। মুসলিমদের বিরুদ্ধে আমজনতার মগজ ধোলাইয়ে লাগাতার চলছে ঘৃণা ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে দেশে যে ঘৃণা ভাষণ দেওয়া হয়েছে তার অধিকাংশের পিছনেই রয়েছে বিজেপি ও মোদির দলের অনুসারী সংগঠন। এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘হিন্দুত্ব ওয়াচ’।
গতকাল সোমবার সংগঠনের পক্ষ থেকে ভারতে চলা ঘৃণা ভাষণ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে নরেন্দ্র মোদি আসীন হওয়ার পরেই ভারতে মুসলিম-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিশানা করে ঘৃণা ভাষণের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বিজেপি শাসিত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বেশি সংখ্যায় ঘৃণা ভাষণের ঘটনা ঘটছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে মোট ২৫৫টি ঘৃণা ভাষণের ঘটনা ঘটেছে তার ৮০ শতাংশের পিছনেই রয়েছে বিজেপি, বজরং দল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, সকল হিন্দু সমাজের মতো কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। ওই কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি আবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) অনুসারী।
‘হিন্দুত্ব ওয়াচ’–এর পক্ষে বলা হয়েছে, এনসিআরবি ২০১৭ সাল থেকে ঘৃণা ভাষণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সমাজমাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভারতে চলা ঘৃণা ভাষণ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। যদিও মুসলিম-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিশানা করে ঘৃণা ভাষণ ছড়ানোর ঘটনায় দলের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছেন দিল্লির বিজেপি নেতা অভয় ভার্মা। তাঁর বক্তব্য, ‘মার্কিন সংস্থা ‘হিন্দুত্ব ওয়াচ’ ঘৃণা ভাষণ নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা ভিত্তিহীন।’