নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন আচমকাই সেখানে ঢুকে পড়ে দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী শিবিরের একাংশ। এই নিয়ে তৃণমূলের তরফে প্রশ্ন করা হয়েছে,’সাংসদের লগ ইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড শেয়ার করার অভিযোগে যদি তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে সংসদ থেকে বরখাস্ত করা হতে পারে তবে বুধবার লোকসভার ভেতরে এই ঘটনার জন্য কেন মহীশূরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহাকে বরখাস্ত করা হবে না।‘
শুধু তাই নয় তৃণমূলের তরফে আরও জানানো হয়েছে,’নিরাপত্তা ভঙ্গ করে কি করে লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন সময় অজ্ঞাত পরিচয় দুই জন ঢুকে পড়ল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন দিল্লি পুলিশের নজরদারিতে কি করে এমন ঘটনা ঘটলো। দিল্লির পুলিশ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ । সংসদের পবিত্রতা নিয়ে আপোষ করা যায় না! কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এই নিয়ে তদন্ত করার।‘
লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন অধিবেশন কক্ষে দুই ব্যক্তির অনুপ্রবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন,’ সংসদের জঙ্গি হামালর বর্ষপূর্তির দিন ছিল আজ। তাছাড়া এমনিতে কয়েকদিন আগে সংসদে হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংসদে আরও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার প্রয়োজন ছিল। যে ভাবে লোকসভা ভিজিটার্স গ্যালারি থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল তাতে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় নিরাপত্তায় কত মারাত্মক খামতি রয়েছে।‘
প্রসঙ্গত ২২ বছর আগে সংসদে হামলার স্মৃতি ফিরিয়ে দিয়েছে বুধবারের ঘটনা। এর আগে ২০০১ সালে সংসদে জঙ্গি হামলা হয়েছিল।দীর্ঘ ২২ বছর পর, একই দিনে, ফের আতঙ্ক ছড়াল সংসদের অন্দরে। প্রাণে বাঁচতে সাংসদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।তবে এদিন কী করে লোকসভায় এমন ঘটতে পারে, সেই প্রশ্ন তুলে নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ উঠছে ।