এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘এত ভয়ানক, কুৎসিত দল দেখিনি’, বিজেপিকে নিশানা মমতার

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রত্যাশিত ভাবেই আঘাত হানলেন তিনি বিজেপিকে। আর সেটাও বাংলার মাটি থেকে। গতকাল থেকেই দেশজুড়ে লাগু হয়ে গিয়েছে CAA বা Citizenship Amendment Act। কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকারের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক সেই আইনকে দেশজুড়ে লাগু করেছে। সেই আইনকে সামনে রেখেই এদিন অর্থাৎ ১২ মার্চ উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার হাবড়া(Habra) থেকে বিজেপিকে আক্রমণ শানলেন বাংলার অগ্নিকন্যা তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সাফ জানালেন, ‘নির্বাচনের আগে বিজেপি শুধু মিথ্যে বলে। CAA আসলে নির্বাচনের আগে বিজেপির লুডো খেলা। হিন্দুতে হিন্দুতে ভাগ করে দেওয়ার খেলা। মুসলিম মুসলিম ভাগ করে দেওয়ার খেলা। হিন্দু-মুসলিম ভাগ করে দেওয়া খেলা। ওরা মহিলাদের বিরুদ্ধে। শান্তি-সম্প্রীতির বিরুদ্ধে। এত ভয়ানক, কুৎসিত দল দেখিনি এর আগে। হিন্দু-মুসলিম-উত্তর পূর্বের লোক কাঁদছে। অসমে বাঙালি হিন্দুরাও কাঁদছে। নীতি যদি স্বচ্ছ হত তাহলে মতুয়া, নমশূদ্র, আধার বাতিল করেছিলেন কেন? একবছর সময় নিতেন।’

এদিন পদ্মশিবিরকে নিশানা বানিয়ে মমতা ছত্রে ছত্রে CAA লাগু হওয়া নিয়ে যেমন কেন্দ্র সরকারের দিকে প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিয়েছেন তেমনি রাজনৈতিক ভাবেও বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। বলেছেন, ‘আপনাদের নীতি স্বচ্ছ হলে মতুয়াদের আধার কার্ড বাতিল করেছিলেন কেন? এটা বাংলা ভাগের খেলা। আমরা সবাই নাগরিক এটাই পরিচয়। এরপর যদি অনুপ্রবেশকারী বলে তাহলে আপনার স্ট্যাটাস কী থাকবে? নির্বাচনের আগে বিজেপি(BJP) শুধু মিথ্যে বলে। ভোটে জিততে ভাঁওতা দিচ্ছে। এতদিন কার্যকর কেন করেনি? এখন নির্বাচনের আগে মানুষকে অধিকার দিচ্ছেন! সারা ভারতবর্ষে যদি কোনওদিন সুযোগ আসে তাহলে এই আইন লাগু করতে দেব না। বিজেপির এটা একটা জুমলা। এটা পরিষ্কার রাজনীতির খেলা। ২টো আসনে জেতার খেলা। এটা বাংলাকে ফের ভাগ করার খেলা। তেমন হলে এক বছর আগে CAA করতেন, এখন কেন করছেন? ক্যা আমরা মানছি না, NRC আমরা মানছি না। CAA কোনওভাবে রাজ্যে প্রয়োগ করতে দেব না। বিজেপির অনেক নেতা প্রচুর সম্পত্তি করেছে খোঁজ নিয়ে দেখুন। এই আইন সরিয়ে ফেলুন। সবাইকে বলছি বহাল তবিয়তে বাংলায় থাকুন। কেউ গায়ে হাত দিলে আমরা বুঝে নেব। বিজেপি শিখ দেখলে বলে খলিস্তানি, মুসলিম দেখলে বলে পাকিস্তানি আর বাঙালি দেখলে বলে বাংলাদেশি! বিজেপি বাঙালিদের সহ্য করতে পারে না। বিজেপির সবাই চোর। ঘরে ঘরে ইডি-সিবিআই পাঠিয়ে দিচ্ছে। ওরা রামকৃষ্ণ, পঞ্চানন বর্মা, সারদা মা, মতুয়া ঠাকুরদের মানে না। আমাদের সংস্কৃতিকে নষ্ট করতে চাই। শুধু আমার সঙ্গে পারে না। ওরা আমাকে লাঠি দেখালে আমি ডান্ডা দেখাই।’

এর পাশাপাশি মমতা বলেন, ‘বিজেপির ১৮টা সাংসদ কী করেছে বাংলার জন্য? বিজেপি হলে ভাল, আর তৃণমূল করলে কালো। চোরেদের সব থেকে বড় নেতা বিজেপি। কে কত সম্পত্তি করেছে দেখুন। তৃণমূলের সবাই চোর নয়। একটা দুটো কেউ সিপিএম থেকে আসা হতে পারে। কয়েকদিন আগে খুব ইমপর্টেন্ট ছেলেকে ডেকেছিল। তারপর বলছে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এরপর বলেছে রাজনৈতিক ব্যক্তির ফোন আসবে। ফোন এল। বলছে বিজেপি যা বলবে তাই শুনবে। বিরুদ্ধে প্রচার করবে না। কী করেছেন মতুয়াদের জন্য? ঠাকুরবাড়ির উন্নয়ন আমরা করেছি। বড় মা যতদিন বেঁচে ছিলেন তার কে দেখা শোনা করেছে? আমি করেছি। মমতা বালা ঠাকুর করেছেন। জিজ্ঞাসা করুন ওকে। অসুস্থ হলেই বেলভিউতে ভর্তি করতাম। মতুয়াদের নামে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সবটাই করব আমরা। তোমরা ভেব না আমরা গাছের আমড়া-আমড়া। আমরা নাগরিক। আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া চলবে না। আমার রাজ্যে আমি কাউকে অধিকার কাড়তে দেব না। আমরা বাংলায় থাকতে ডিটেনশান ক্যাম্প করতে দেব না। কোনও এনআরসি করতে দেব না। কোনও বঞ্চনা-লাঞ্চনা করতে দেব না। এর জন্য আমার যদি জীবন যায় আমি জীবন দেব। বাংলার মানুষের অধিকার কাড়তে দেব না।আমি সব রাজ্যকে বলব আপনারা তৈরি হন। মণিপুরে অনেক চার্চ পুড়িয়েছে। সেখানকার মহিলাদের নির্যাতন করা হয়েছে। কোথায় ছিলেন বিজেপি নেতারা।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অধিকারীদের জেলায় মমতার হানাদারি ১৬ মে, হলদিয়া-এগরায় সভা, কাঁথিতে রোড-শো

আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ লালার

পরবর্তী দু’দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ছে, জানালেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক

১৯ মে নাগাদ আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করছে বর্ষা: আবহাওয়া দফতর

অনুব্রত মণ্ডলকে জেলে ভরে ভোট আটকানো যাবে না, প্রমাণ করল জনতা: শতাব্দী রায়

লেশমাত্র টেনশন নেই, ভোটের দিন দেদার নিজস্বী তুলে সময় কাটালেন মহুয়া

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর