নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়াশিংটন: লোকসভা ভোটের মুখে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করেছে মোদি সরকার। ওই আইন কীভাবে কার্যকর হচ্ছে তার উপরে ওয়াশিংটন নজর রাখছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে আমরা সম্যক অবহিত এবং খানিকটা উদ্বিগ্ন। ওই আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে ধর্মীয় স্বাধিনতা ক্ষুন্ন হচ্ছে কিনা এবং সব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষিত হচ্ছে কিনা, তার উপরে বিশেষ নজর রাখব আমরা।’ কূটনীতিবিদরা মনে করছেন, জো বাইডেন প্রশাসনের এমন মন্তব্য মোদি সরকারের জন্য যথেষ্টই বিড়ম্বনার।
২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ করেছিল মোদি সরকার। কিন্তু চার বছর বাদে আচমকাই লোকসভা ভোটের মুখে ওই আইন কার্যকর করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ দেশের বিরোধী দলগুলি ওই আইনের বিরুদ্ধে ফের সরব হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন এবং তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন তাদের রাজ্যে ওই আইন কার্যকর করতে দেবেন না। যদিও ভারতের সংবিধান বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিয়েছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হতে না দিলে ওই তিন সরকারকে বরখাস্ত করার মতো মারণ অস্ত্র প্রয়োগ করবে মোদি সরকার।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালেই ভারতজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের ঝড় উঠেছিল। সে সময়ে উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। ওই সংঘর্ষে শতাধিক বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছিল। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে আন্দোলনকারীদের উপরে পুলিশের দমন-পীড়নে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ওয়াশিংটন।