নিজস্ব প্রতিনিধি,পূর্ব বর্ধমান :পুকুরে জল শুকতেই এলাকার মানুষজনের সোনার গহনা খোঁজার হিড়িক শুরু ।এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ।পূর্ব বর্ধমান জেলার(Purba Bardhaman District) ভাতারের কামারপাড়ায় রয়েছে মুঘল আমলের একটি পুকুর রয়েছে। যে পুকুরটি দেবত্ব পুকুর হিসাবে এলাকায় পরিচিত।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৮২৫ সালে পুকুরটিকে সংস্কার করার জন্য পুনরায় খনন করেন কামারপাড়ার রাণী আরম্বা রানী সুন্দরী ।এ যাবৎ পুকুরের জল কখনো শুকায়নি বলে দাবি এলাকাবাসীদের।
বেশ কয়েকবার ওই পুকুরের জল শুকানোর চেষ্টা করেছিল স্থানীয়রা ।তবে কাজ হয়নি কিছুই ।অবশেষে ১৬ দিনের চেষ্টায় সেই পুকুরের(Pond) জল শুকায় মঙ্গলবার । আর পুকুরের জল শুকনো হতেই এলাকার মানুষ অবাক হয়েছেন।পাশাপাশি এলাকার মানুষজনদের সোনার গহনা(Gold Ornaments) খোঁজার হিড়িক পড়ে যায় পুকুর চত্বরে।কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে, পুকুরটি ছিল দেবত্ব।তাই বহু মানুষ এই পুকুরে মানত করে সোনার গহনা জলে ফেলতেন।
তবে এলাকার একজন ব্যক্তিই এখনো পর্যন্ত সোনার জিনিস পেয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বাকিরা অমূল্য রতন খোঁজার নেশায় বুদ হয়ে পুকুরের মাটি খোঁড়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। ওই পুকুরের পাড়ে এখন মানুষের ভিড় অমূল্য রতন পাওয়ার সন্ধানে।পুকুরটি যেখানে অবস্থিত শুধু সেই গ্রাম নয় মুখে মুখে গুপ্তধন পাওয়ার গল্প ছড়িয়ে গেছে অন্যান্য গ্রামগুলিতে। তাই ভোর হতেই ওই শুকনো পুকুরে অমূল্য রতন খুঁজে পেতে হাজির হচ্ছেন সকলেই। দিনের শেষে কেউ ফিরছেন হাসিমুখে সোনার অলংকার পেয়ে,কেউ আবার কাদা মাটি মেখে খালি হাতেই ফিরছেন বাড়িতে।