নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠাল আদালত। আজ শুক্রবার দুপুরে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে পেশ করে ১০ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল ইডি। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওই আবেদনে সাড়া দেননি বিচারক কাবেরী বাওয়েজা। তিনি আপ সুপ্রিমোকে সাত দিনের ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দিল্লি হাইকোর্টে ‘রক্ষাকবচের’ আর্জি খারিজ হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাত নয়টা বেজে পাঁচ মিনিটে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে ইডি। রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে ইডির হাজতে রাখা হয়। এদিন দুপুরে রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে বিশেষ বিচারক কাবেরী বাওয়েজার এজলাসে পেশ করা হয় কেজরিকে। হাই প্রোফাইল মামলা শুনতে এদিন এজলাসে আইনজীবী ও সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল। ভিতরে ঢোকার জন্য ধাক্কাধাক্কিও চলে। শেষ পর্যন্ত পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিন ইডির পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু আদালতে দাবি করেন, ধৃত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীই দিল্লির আবগারি নীতি কেলেঙ্কারির মূল পাণ্ডা (কিং পিন)। ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী কে কবিতার সঙ্গে যোগসাজশ করেই তিনি ওই আবগারি নীতি তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। নয়া নীতি তৈরির জন্য কে কবিতা আপ নেতৃত্বকে ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। ওই টাকা পঞ্জাব ও গোয়া বিধানসভা ভোটে খরচ করেছিল আম আদমি পার্টি। হাওয়ালার মাধ্যমে ৪৫ কোটি টাকা গোয়ায় পাঠানো হয়েছিল।’
ইডি আইনজীবীর দাবির সূত্র ধরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাউকে হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন হয়। যদি ইডির কাছে সব কিছুর প্রমাণ থাকে তাহলে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের প্রয়োজন পড়ল? মামলায় এখনও পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের ৮০ শতাংশই কেজরিওয়ালের নাম উল্লেখ করেননি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে ইডি।’ দু’পক্ষের সওয়াল শেষে রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক। রাত সাড়ে আটটার পরে রায় ঘোষণা করতে গিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে সাত দিনের ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।