নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দলের দুর্দিনের নেতা-কর্মীদের আর প্রয়োজন নেই, লোকসভা ভোটের প্রার্থী বাছাই করতে গিয়ে পরিস্কারভাবে সেই বার্তা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা। দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের পরিবর্তে কংগ্রেস-সহ ভিন্ন দল থেকে আসা সুবিধাভোগী ও অভিযুক্ত নেতা-নে্ত্রীদের দরাজ হাতে বিলি করে চলেছেন লোকসভার টিকিট। শনিবার রাতে অষ্টম দফায় তিন রাজ্যের ১১ আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে পদ্ম শিবির। তার মধ্যে চার জন বিরোধী শিবির থেকে আসা। তিন জন কোনও দিন বিজেপি রাজনীতির সঙ্গে যুক্তই ছিলেন না। সাংসদ হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
এদিন রাতে যে ১১ লোকসভা আসনের প্রার্থীর নাম গোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে পঞ্জাবের ছয়টি, ওড়িশার তিনটি ও পশ্চিমবঙ্গের দুটি আসন রয়েছে। পঞ্জাবের গুরুদাসপুরে বিদায়ী সাংসদ বলিউড অভিনেতা সানি দেওলকে আর প্রার্থী করেননি মোদি-শাহরা। তার পরিবর্তে প্রার্থী করা হয়েছে দীনেশ সিংহ বাব্বুকে। উত্তর-পশ্চিম দিল্লি আসনের সাংসদ হংসরাজ হংসকে ফরিদকোট আসনে দাঁড় করানো হয়েছে। অমৃতসর থেকে প্রার্থী হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিংহ সান্ধু। পাতিয়ালা আসনে প্রার্থী হয়েছেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের স্ত্রী প্রণীত কাউর। লুধিয়ানায় রভনীত সিং বিট্টু, জলন্ধরে সুশীল রিঙ্কু। শেষের তিন জনই গত সপ্তাহে কংগ্রেস ও আপ ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছেন।
ওড়িশার কটকে প্রার্থী করা হয়েছে নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দল থেকে আসা ‘দলবদলু’ ভর্তৃহরি মহতাবকে। জাজপুর আসনে প্রার্থী হয়েছেন রবীন্দ্রনারায়ণ বেহরা এবং কন্ধামালে সুকান্ত পানিগ্রাহী। এ নিযে এখনও পর্যন্ত ৪১১ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি নেতৃত্ব। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, মূলত দলবদলুদের প্রার্থী করে যেভাবে মোদি-শাহ দলের আদি নেতাদের উপেক্ষা করছেন, তা বিজেপির পক্ষে ব্যুমেরাং হয়ে দাঁড়াতে পারে।