নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: জল্পনাই সত্যি হলো। আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের পরে আম আদমি পার্টিতে ভাঙন শুরু হল। বুধবার আচমকাই আপ ছাড়ার পাশাপাশি কেজরির মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাজকুমার আনন্দ। সূত্রের খবর, ইডির গ্রেফতারির ভয়েই আপের সঙ্গে সম্পর্কছেদ করেছেন পটেল নগরের বিধায়ক।
রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের (ডিআরআই) পক্ষ থেকে রাজ কুমার আনন্দের বিরুদ্ধে শুল্ক কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছিল। আমদানি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে প্রায় সাত কোটি টাকা আন্তর্জাতিক হাওয়ালা চক্রের মাধ্যমে বিদেশে সরিয়েছিলেন বলে আপ বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বছর ২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির পক্ষ থেকে দিল্লির সমাজকল্যান মন্ত্রী তথা পটেল নগরের আপ বিধায়কের বাড়িতে দিনভর তল্লাশি চালানো হয়।
আবগারি নীতি কেলেঙ্কারিতে গত ২১ মার্চ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের পরেই আম আদমি পার্টির নেতা-কর্মীরা খানিকটা মুষড়ে পড়েন। আতিশী মারতলেনা, সৌরভ ভরদ্বাজরা অভিযোগ করেন, দল ছাড়ার জন্য তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। দিল্লির নির্বাচিত সরকার ভেঙে রাষ্ট্রপতি শাসনের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বিজেপি। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব সরাসরি ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সূত্রের খবর, কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের পরেই ভয় পেয়ে যান দিল্লির সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাজকুমার আনন্দ। পুরনো মামলায় ইডি তাঁকে জেলে পুরতে পারে বলে আশঙ্কায় আপের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দিয়েছেন। এদিন আপ ও মন্ত্রিত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গে অবশ্য অন্য সুরই শোনা গিয়েছে ইডির স্ক্যানারে থাকা পটেল নগরের বিধায়কের গলায়। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আম আদমি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলাম। আর আজ সেই দলই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে।’ দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বাড়িতে ইডির তল্লাশি নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি রাজকুমার।