নিজস্ব প্রতিনিধি: শহরের নাগরিক, খ্যাতনামা শিল্পী, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় (অভিনেতা, নাট্যব্যক্তিত্ব ও রাজনৈতিক-সামাজিক ভাবে সচেতন), কী প্রত্যাশা থাকবে নতুন পুরবোর্ডের কাছে। শিয়রে কলকাতা পুরসভার ভোট। আগামী ১৯ ডিসেম্বর তিলোত্তমাবাসীর ভোটের নিরিখেই গঠিত হবে নতুন পুরবোর্ড। এতদিন ধরে শহরাবাসীর নানা সমস্যার সমাধান করেছে প্রাক্তন পুরবোর্ড ও এলাকার কাউন্সিলর। ভোটে জিতলে কাউন্সিলারের কাছ থেকে কী কী কাজের প্রত্যাশা রয়েছে ঋতব্রত’র। কোন কাজেই বা খামতি রয়েছে তার এলাকায় এই মুহূর্তের প্রতিনিধি অর্ঘ্য নস্করকে সেই বিষয়ে জানালেন ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়।
ঋতব্রত: ১২৭ নম্বর ওয়ার্ড আমার বাড়ি যেখানে, আমার পাড়া। এখানেই বেড়ে ওঠা। এখানে বিগত দশবছর ধরে কাউন্সিলর ছিলেন বাম শিবিরের নীহার ভক্ত। ওনার কাজে খুশি।
পুরসভার ও কাউন্সিলরের কোন কোন কাজ ভালো লেগেছে…
১. নীহার বাবুর সবচেয়ে বড় পয়েন্ট হল উনি এলাকার মানুষের সঙ্গে মিশে থাকেন। ২৪ ঘন্টা পাওয়া যায়। এলাকায় টিউশানি পড়ান। প্রচুর কাজ হয়েছে। যতটা হওয়ার দরকার ছিল হয়েছে।
২. কাজ হয়েছে, বর্ষা হলে জল দাঁড়িয়ে যেত সেটা অনেকটাই সুরাহা হয়েছে। রাস্তা উঁচু হয়েছে।
৩. করোনার সময় টিকাকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন নীহার বাবু। ওনার অফিসেই টিকাকরণ করিয়েছিলেন এলাকাবাসীদের। এটা একটা বড় কাজ করেছেন তিনি।
আর কী কী চান…….
১. ড্রেনের সমস্যা। বড় বড় ড্রেন রয়েছে খোলা অবস্থায়। যত্রতত্র পড়ে রয়েছে নোংরা সেখান থেকে জন্ম নিচ্ছে মশা। যার ফলে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। সেই দিকে নজর দিলে ভালো হয়।
২. যানবাহনের সমস্যা, এটা আমাদের এখানে বড় ফ্যাক্টর। গণপরিবহণ পাওয়া যায়না, সেইদিকে নজর দিলে ভালো হয়।
৩. তবে সবার আগে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। ময়লা পরিস্কার করা বা ফেলা শুধুই সরকারের কাজ নয়। এলাকার মানুষকেও দায়িত্ব নিতে হবে। তাহলে আগামীদিনে আরও কাজ হবে। নাগরিক সচেতনতা বাড়াতে হবে।
৪. আমফানে অনেকটাই সমস্যায় পড়েছি। কিন্তু আমাদের কাউন্সিলরের হাতে ওই ক্ষমতাটা ছিল না, যেহেতু আমফান অনেক বড় ক্ষতি করেছিল। সেটা আগামীদিনে পুরবোর্ডকে দেখতে হবে।