আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সময় যত গড়াচ্ছে ততই লাশের সারির ভিড় বাড়ছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সুপার টাইফুন ‘রাই’-র ধ্বংসলীলায় ফিলিপাইনে কমপক্ষে ৩৭৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কোথায় গিয়ে থামবে মৃত্যুর মিছিল, তা ভেবে আতঙ্কিত প্রশাসনিক আধিকারিকরা। কেননা, টাইফুনের আঘাতে যে পাঁচ শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এখনও ৫৬ জনের কোনও খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজদের সন্ধানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকার্য।
গত বৃহস্পতিবার দ্বীপ রাষ্ট্র ফিলিপাইনের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে সুপার টাইফুন রাই। উপকূলভাগে আছড়ে পড়ার সময়ে ঘন্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ১৭৫ কিলোমিটার। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। একাধিক জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ উপড়ে পড়ে। প্লাবিত হয় বেশ কয়েকশো গ্রাম। বহু এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ধ্বংসলীলার হাত থেকে রেহাই পায়নি ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তিন লাখের বেশি মানুষকে বাড়িঘর ও সৈকতের রিসর্টগুলি থেকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পরেই কোমর কষে উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। কিন্তু উদ্ধারকার্য চালাতে গিয়ে চরম প্রতিকুলতার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের। বহু জায়গাতে পৌঁছতেই পারেননি উদ্ধারকারীরা। ফলে অনেকেই সাহায্যের অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। আন্তর্জাতিক রেডক্রসের স্থানীয় প্রধানের মতে, ‘গত এক দশকে দেশটিতে ঝড় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ছিল সুপার টাইফুন রাই।’