নিজস্ব প্রতিনিধি: মঙ্গলবার কলকাতা পুরনিগমের মেয়র হিসাবে শপথ নিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। আর সেই শপথ গ্রহণের পরেই শহরের বুকে পার্কিং ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে এদিন কড়া বার্তা দিলেন তিনি। সেই সঙ্গে জানালেন পার্কিং ক্ষেত্রে ফি আদায়ের জন্য এবার আনা হচ্ছে নতুন এক অ্যাপ, যার মাধ্যমে অনলাইনে পেমেন্ট করা যাবে। এখনই নগদে পার্কিং ফি মেটানো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে না, তবে অ্যাপ আসার পরে ধীরে ধীরে গোটা বিষয়টিকে অনলাইনে নিয়ে চলে আসা হবে। অস্বীকার করার উপায় নেই এই ব্যবস্থা চালু হলে কলকাতা পুরনিগম রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে বড়সড় সাফল্যের মুখ তো দেখবেই সেই সঙ্গে তা আরও উন্নত প্রযুক্তি নির্ভরও হয়ে উঠবে। যদিও এখনও এই শহরে পার্কিং প্লেসের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। সেই সমস্যা মেটানোর ক্ষেত্রে নতুন পুরবোর্ড কোন পদক্ষেপ নেয় সেই দিকেও শহরের জনতা আগামী ৫ বছর তাকিয়ে থাকবে ফিরহাদের দিকে।
এদিন শপথ নেওয়ার পরে সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ জানান, শহরে এখন মূলত দুই ধরনের দুর্নীতি দেখা যাচ্ছে পার্কিংকে ঘিরে। এক তো গাড়ি পার্কিং করলে পার্কিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থা তা কমিয়ে দেখাচ্ছে। রাজস্বও সেক্ষেত্রে কম আসছে। উদাহরণ হিসাবে তিনি তুলে ধরেন, যেখানে ১০০টি গাড়ি পার্কিং করছে সেখানে পুরনিগমকে দেখানো হচ্ছে ৪০টি গাড়ি পার্কিং করেছে। সেই মতো রাজস্ব জমা পড়ছে। কিন্তু বাকি ৬০টি গাড়ির পার্কিং ফি আর জমা পড়ছে না। তা চলে যাচ্ছে সেই দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার পকেটে। আবার আবাসনের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। মানে যে আবাসনে হয়তো ১০০ পরিবার থাকে সেখানে হয়তো দেখা যাচ্ছে ৪০টি গাড়ি রাখার জায়গা আছে। এবার সেই আবাসনে যদি ৪০ এর বেশি গাড়ি থাকে তাহলে বাকি গাড়িগুলি এদিক ওদিক করে আবাসনের বাইরে পার্ক করে রাখা হয়। তা সে দিন হোক কী রাত। এই গাড়িগুলির পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে কিন্তু কোনও রাজস্ব জমা পড়ে না।
ফিরহাদ এই অবস্থায় এই রীতির পরিবর্তন ঘটাতে চাইছেন। রাজস্ব যাতে সরাসরি কলকাতা পুরনিগমের তহবিলে জমা পড়ে তার জন্য অ্যাপ আনার কথা জানিয়েছেন তিনি। এর ফলে নগদে আর পার্কিং ফি মেটাতে হবে না। আবার এই অ্যাপেই থাকবে পার্কিংয়ের সুলুকসন্ধান যেখানে গাড়ি নিরাপদে রাখা যাবে। সেখানেই গাড়ি রাখতে হবে। তারপরেও যদি সেখানে কেউ গাড়ি না রেখে রাস্তার ধারে এদিক ওদিক গাড়ি পার্ক করে রাখেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারবে পুরপ্রশাসন।