নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ: অস্তিত্ব রক্ষার ম্যাচেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। মঙ্গলবার রাতে প্রতিপক্ষ লখনউয়ের বোলারদের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ের মুখে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করলেন রোহিত শর্মা-হার্দিক পাণ্ড্যরা। খানিকটা লড়লেন ঈশান কিশন ও নেহাল ওয়াধেরা। আর তাঁদের ওই লড়াইয়ের ফলে প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান তুলতে সক্ষম হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
এদিন ঘরের মাঠে টসে জিতে প্রথমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ব্যাট করতে পাঠান লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। শুরু থেকেই আগুন ঝরাতে শুরু করেন লখনউয়ের মহসিন খান, মার্কাস স্টোইনিসরা। সেই আগুন ঝরানো বোলিংয়ের মুখে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করতে থাকেন মুম্বইয়ের নামী-দামী ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা (৪)। পরের ওভারে টি টোয়েন্টির বিশ্বসেরা ক্রিকেটার সূর্যকুমার যাদবকে (১০) সাজঘরের পথ ধরান স্টোইনিস। ষষ্ঠ ওভারে জোড়া ধাক্কা খায় মুম্বই। প্রথম বলে রান আউট হয়ে ফেরেন তিলক ভার্মা (৭)। পরের বলে খোঁচা মেরে লখনউ অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ‘গোল্ডেন ডাক’ এর শিকার হন অফ ফর্মে থাকা মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। ২৭ রানে প্রথম সারির চার ব্যাটারের উইকেট খুঁইয়ে রীতিমতো ধুঁকতে থাকে মুম্বই।
এর পরে পঞ্চম উইকেটে জুটি বেঁধে মাথা ঠাণ্ডা করে খেলে লখনউয়ের বোলারদের সামনে প্রতিরোধের প্রাচীর গড়ে তোলেন ঈশান কিশন ও নেহাল ওয়াধেরা। দুজনে ৫৩ রান যোগ করেন। এক সময়ে যেভাবে খেলছিলেন দুজনে, তাতে অপ্রতিরোধ্যই মনে হচ্ছিল। ১৪তম ওভারে বল করতে এসে ঈশানকে (৩৩ বলে ৩১) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রবি বিষ্ণোই। ষষ্ঠ উইকেটে জুটি বেঁধে রীতিমতো আগ্রাসী মেজাজে খেলে দলকে একশো রানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন নেহাল ও টিম ডেভিড। ১৮তম ওভারে বল করতে এসে অর্ধশতরানের গোড়া থেকে নেহালকে (৪৬) ফিরিয়ে দেন মহসিন খান। পরের ওভারেই মহম্মদ নবির (১) স্ট্যাম্প ছিটকে দেন চোট সারিয়ে দলে ফেরা ময়াঙ্ক যাদব। শেষের দিকে খানিকটা চালিয়ে খেলে দলকে ১৪৪ রানে পৌঁছে দেন টিম ডেভিড। তিনি ১৮ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। লখনউয়ের পক্ষে মহসিন খান ৩৬ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন।