নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষন ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচনে মূল লড়াই হতে চলেছে বিজেপির সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির। আরও বলা ভাল মোদি-যোগীর সঙ্গে অখিলেশের। সেই লড়াইয়েই এবার সপা প্রধানের পাশে দাঁড়াতে যোগীভূমে যাওয়ার পথে পা বাড়াতে পারেন তৃণমূলনেত্রী। সেখানে মমতা অখিলেশ যৌথ সভা করার পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠকও করতে পারেন। এই বিষয়ে শীঘ্রই দিনক্ষন ঠিক করতে মমতার বাড়িতে আসছেন অখিলেশের দূত তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কিরণময় নন্দ। সব কিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারির শেষদিকে বা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই মমতা উত্তরপ্রদেশ যেতে পারেন বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। এমনকি এই বিষয়ে গত সপ্তাহেই নাকি মমতার সঙ্গে অখিলেশের ফোনে এক দফা কথাও হয়ে গিয়েছে। আসলে অখিলেশ নিজেই চাইছেন ভোট আবহে মমতাকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিতে। কেননা মমতাই এখন দেশে মোদি তথা বিজেপির বিরুদ্ধে প্রধান মুখ হয়ে উঠেছেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মমতা নিজেও অখিলেশের সঙ্গে গোটা পাঁচেক যৌথ সভা করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। তিনি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আগামী ২২ তারিখ পর্যন্ত কোনও জনসভা হবে না উত্তরপ্রদেশে। তাই ২৬ জানুয়ারির পরে বা ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকেই মমতা ও অখিলেশকে যৌথ ভাবে যোগীভূমে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করতে দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে এখন কোভিডের প্রকোপ অনেকটাই কম। তবুও যদি কোনও কারনে কোভিডের প্রকোপ সেখানে বেড়ে যায় ও নির্বাচন কমিশন নতুন করে ফের সেখানে জনসভা করা নিয়ে কোনও বিধিনিষেধ জারি করে তাহলে দুইজনে অন্তত একটি যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে সেখান থেকেই বিজেপি, মোদি ও যোগী বিরোধী কড়া বার্তা দিতে পারেন বলেই জানা গিয়েছে। তৃণমূল অবশ্য উত্তরপ্রদেশে কোনও প্রার্থী দিচ্ছে না। অখিলেশের সঙ্গে সম্পর্ক মসৃণ রাখতেই তৃণমূল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি উত্তরপ্রদেশে তৃণমূল দলের কোনও ইউনিট খোলার দিকেও পা বাড়ায়নি। সেই প্রেক্ষাপটে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে অখিলেশ আর মমতা যৌথ প্রচার, সভা বা সাংবাদিক বৈঠক করলে বিজেপি অনেকটাই চাপে পড়বে বলে অনুমান।