নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: মাটি কাটার সময় অস্ত্রের হদিশ মিলল বিপুল পরিমান অস্ত্রশস্ত্রের। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় এলাকায়। মাটির নীচ থেকে উদ্ধার হল শতাধিক বন্দুক ও হাজারের দেশি কার্তুজ। পুলিশের সন্দেহ মাওবাদীদের লুকিয়ে রাখা অস্ত্র ভাণ্ডারই বেরিয়ে এসেছে মাটি খুঁড়তে। কারণ এই এলাকা একসময় মাওবাদী অধ্যুষিত হিসেবে পরিচিত ছিল। এত বিপুল পরিমান অস্ত্র মিলতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের অনুমান, এই বন্দুক ও কার্তুচ প্রায় ১৫ বছরের পুরোনো।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি গোয়ালতোড়ের বড়ডাঙা এলাকায় পঞ্চায়েতের রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও পাশের জমি সমান করা হচ্ছিল। বুধবার দুপুরে জেসিবি দিয়ে মাটি কাটার সময় দেখা যায় মাটির নীচে সাড়ি সাড়ি বালতি রাখা আছে। সেগুলি তুলতেই দেখা যায় সেখানে রয়েছে প্রচুর বন্দুক ও কার্তুজ। এরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে এলাকা তল্লাশি করে সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে। এরপরই এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপান উতোর। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করে, এই অস্ত্র ভাণ্ডার আসলে সিপিএম হার্মাদ বাহিনীর। বাম আমলে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর জন্যই অস্ত্র মজুদ করা হয়েছিল। তবে সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর পাল্টা দাবি, বন্দুক পরীক্ষা করলেই বোঝা যাবে এগুলি কত পুরোনো। তবে পুলিশ প্রশাসনের অনুমান, এগুলি মাওবাদী আমলের হতে পারে।