নিজস্ব প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ: দেশজুড়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে পালিত হচ্ছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। গত ৫০ বছরে অনেকটা বদলেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলা। কিন্তু ভাগ্য বদলায়নি সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের ১১ গ্রামের বাসিন্দাদের। আজও অনুন্নয়নের তিমিরেই পড়ে রয়েছেন তাঁরা। যাতায়াতের জন্য আজও তাঁদের বড় ভরসা বাঁশের তৈরি নড়বড়ে সাঁকো। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই অসংখ্য পড়ুয়া, সাধারণ মানুষ সেই বাঁশের সাঁকো পেরিয়েই যাতায়াত করছেন।
দীর্ঘদিন ধরে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। তবে শুক্রবার চৌহালী উপজেলার স্থানীয় প্রশাসন বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘গ্রামবাসীদের দাবি মেনে খুব শিগগিরই বাঁশের সাঁকোর জায়গায় পাকা সেতু নির্মাণ করা হবে।’
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে গোটা উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বড় হাট বসে। ওই হাটে কৃষিপণ্য সহ পসরা সাজিয়ে নিয়ে বসেন আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দা। শুধু তাই নয়, এলাকায় প্রায় ৫০টির মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। রয়েছে একাধিক তাঁতের কারখানা। কয়েকহাজার তাঁতী ওই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। যাতায়াতের সুবিধার জন্য গ্রামবাসীরা নিজেরাই ওয়াপদা খালের বাঁধের ধারে তৈরি করেছেনন নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে ১১ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে।
এনায়েতপুর নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি শেখ শামীম হোসেন জানান, ‘বর্ষার সময় খুব সমস্যা হয়। জলে বাঁশের সাঁকো ডুবে যায়। তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বিশেষ করে পড়ুয়াদের। একাধিকবার প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু টনক নড়ানো যায়নি।’