নিজস্ব প্রতিনিধি: শুক্রবার সাত সকালে বড় দুর্ঘটনা(Accident) ঘটে গেল পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার কাঁথি(Contai) মহকুমার কাঁথি-৩ ব্লকের মরিশদা(Morishda) গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দুর্মুঠে। দুর্মুঠের ওপর দিয়ে যাওয়া ১১৬বি জাতীয় সড়কে নিত্যদিনই চেকিং চালায় পুলিশ(Police)। সেই চেকিংয় ফাঁকি দিয়ে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোকে ধাক্কা মারে বালি বোঝাই একটি ডাম্পার। সেই ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান অটোতে থাকা ২জন যাত্রী। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। এদের মধ্এযে ২জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এরপরেই ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের একটি গাড়িতে ভাঙচুর করে তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে মারধর করা হয় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীকেও। ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ হয়ে পড়ে ওই রাস্তা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁথি ও মরিশদা থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী আসে এলাকায়। আসে র্যাফও।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে মরিশদা থানার দুর্মুঠে দয়সাই স্ট্যান্ডের কাছে পুলিশের চেকিং চলছিল। সাধারন মানুষের অভিযোগ, পুলিশ নিত্যদিনই সেখানে চেকিং চালানোর নামে কার্যত বড় বড় লরি ও ডাম্পার দাঁড় করিয়ে তোলা আদায় করে। এদিনও তাঁরা সেটাই করছিল। সেই সময় একটি ডাম্পার গাড়ি পুলিশের চেকিং দেখেও না থেমে গতি আরও বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তার জেরে পুলিশের গাড়িও ডাম্পারটিকে ধাওয়া করে। ডাম্পারটি নন্দকুমারের দিকে দ্রুত গতিতে পালাতে চেষ্টা করার সময় দিঘামুখী একটি বেসরকারি বাসকে পাশ কাটাতে গিয়ে ধাক্কা মারে যাত্রী বোঝাই একটি অটোতে। দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাস আর ডাম্পারের মাঝে পড়ে কার্যত দুমড়ে মুছড়ে পিষ্ট হয়ে যায় অটোটি। আর তাতেই মারা যান ২জন। মৃতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
দুর্ঘটনার পরই জনরোষ আছড়ে পড়ে পুলিশের গাড়িতে। রাস্তাতেই পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে পুলিশের গাড়ি। প্রাথমিকভাবে মরিশদা থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু ক্ষোভ ছড়াতে থাকে দাবানলের মতো। তার জেরে কাঁথি থেকেও পুলিশ বাহিনী আনা হয়। কিন্তু জনতার ক্ষোভকে শান্ত করা যায়নি। জনতার বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে নন্দকুমার-দিঘা ১১৬বি জাতীয় সড়ক। আটকে পড়ে দিঘা ও কলকাতামুখী সব যানবাহন। ক্ষিপ্ত জনতাকে শান্ত করতে শেষে নামানো হয় র্যাফ। দুর্ঘটনার পরেই গা ঢাকা দেয় ঘাতক ডাম্পারের চালক। পুলিশ শেষে ক্রেন এনে রাস্তা থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্থ অটো ও ডাম্পারটিকে সরিয়ে যানবাহন চলাচলের রাস্তা খুলে দেয়। যদিও এলাকায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ যথেষ্টই রয়েছে।