নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হাতে আর মাত্র একটা দিন। রবিবার বাদ দিয়ে তার পরের দিন অর্থাৎ সোমবারই উত্তরপ্রদেশে সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট। আর তার ঠিক আগে আগেই বড়সড় ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। বিজেপির বিশিষ্ট নেত্রী তথা সাংসদ রিতা বহুগুণা যোশির ছেলে ময়ঙ্ক যোশি ধরলেন সমাজবাদী দলের মূল কাণ্ডারি তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের হাত। আজ, শনিবার উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের গোপালপুরে ছিল অখিলেশ যাদবের শেষ জনসভা। আর সেখানেই শেষবারের মতো বোমা ফাটালেন অখিলেশ। স্বামী প্রসাদ মৌর্যর পরে এবার আরও এক বিজেপি সাংসদের পরিবারে ভাঙন ধরাল অখিলেশের দল। শনিবারের এই জনসভাতেই ময়ঙ্ক এবং অখিলেশকে দেখা গেল এক সঙ্গে, একই মঞ্চে।
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাকাল্লেই বিজেপি নেতা স্বামী প্রসাদ মৌর্যর মেয়ে সংঘমিত্রা মৌর্য যোগ দিয়েছেন সমাজবাদী দলে। তাতে ভোটের মুখে কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়েছে গেরুয়া শিবির। সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই এবার বিজেপি সাংসদ রিতা বহুগুণার ছেলে গেল অখিলেশের দলে।
তবে ময়ঙ্ক যে সপায় যোগ দিতে চলেছেন সেই ব্যাপারে পূর্বাভাষ মিলেছিল গত ২২ ফেব্রুয়ারি, যেদিন সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ময়ঙ্ক। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সেকথা নিজেই জানান বিজেপি সাংসদ পুত্র। তবে সে ব্যাপারে সরকারিভাবে তখনই কিছু ঘোষণা করেননি কোনও পক্ষই। এরপর সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শনিবার ময়ঙ্ককে শেষমেশ দেখা গেল অখিলেশের পাশে। তবে নির্বাচনের এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে ময়ঙ্কের অখিলেশের হাত ধরা নিঃসন্দেহে একটা বড় ধাক্কা। কারণ খুঁজতে পিছিয়ে যেতে হবে দুবছর আগে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সময়, যখন বিজেপির টিকিটে জিতে রিতা বহুগুণা হয়েছিলেন সংসদের সদস্য। সেই সময়েই রিতা ময়ঙ্ককে সামনে এনে ঘোষণা করেন যে তিনিই হবেন পরবর্তীতে রিনার ‘মুখ’। অন্যদিকে তারও দুবছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সাল থেকে রিতা এবং বিজেপির হয়ে প্রচারে নেমে যথেষ্ট লোকপ্রিয় হয়ে ওঠেন ময়ঙ্ক। এবার সেই ময়ঙ্কই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করে ধরলেন অখিলেশের হাত।