নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অভিনেত্রীর পাশাপাশি তিনি এখন মা। জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন। সন্তান কোলে আসার পর এটাই তাঁর প্রথম পুজো। তাই তাঁর পুজোর আবহে যোগ হয়েছে আলাদা মাত্রা। অভিনেত্রী স্নেহা চট্টোপাধ্যায় বিশেষ ভূমিকায় এবছর কীভাবে পুজো কাটাবেন ভাগ করলেন ফোনের ওপার থেকে এই মুহূর্তের প্রতিনিধি অরণী ভট্টাচার্যের সঙ্গে।
মা হওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম পুজো। এবছর তাই বাইরে বেরোনো, প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখার প্রশ্নই নেই। তবে আট মাসের ছেলেকে একদিন গাড়িতে নিয়ে কলকাতার পুজোর আলোর রোশনাই দেখাতে নিয়ে বেরোতে পারেন অভিনেত্রী। এবছর বেলঘরিয়ায় বাপের বাড়ির পুজো দেখেই কাটবে তাঁর পুজো। এতদিন নিজের কটা জামা হল তা গুনতেন এখন পুরো পুজোর প্ল্যানটাই ছেলেকে ঘিরে। পরিবারের খুদেটির ডাকনাম তুরুপ। ভালো নাম জোনাক। এবছর সেই তুরুপ ওরফে জোনাকের প্রথম পুজো। আর সেই পুজোয় মা অভিনেত্রী স্নেহা চট্টোপাধ্যায় মামাবাড়ির ব্যালকনি থেকেই দুর্গা পুজোর সঙ্গে পরিচয় করাবেন তাকে।
নিজের ফেলে আসা পুজো সম্পর্কে জানতে চাইলে বেশ নস্টালজিক হয়ে পড়েন স্নেহা। সঙ্গে এও জানান, যে তিনি ভীষণভাবে খেতে ভালবাসেন। পুজো ছাড়াও বছরের বাকি দিনগুলোতে স্ট্রিটফুড তাঁর ভীষণ পছন্দের। একবার পুজোয় বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে ৯৩টা ফুচকা খেয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন স্নেহা। সেদিন সন্ধ্যার এই ঘটনায় তাঁর পরিবারের সকলে যারপরনাই দুশ্চিন্তায় পড়লেও তিনি দিব্যি হজম করে ফেলেছিলেন ফুচকা। আজও পুরানো পুজোর স্মৃতিচারণায় পুজো প্রেম, পুজোর খাওয়াদাওয়া নিয়ে বেশ নস্টালজিক তিনি।
স্বামী সংলাপ ভৌমিকের সঙ্গে পুজো কেমন কাটত বিয়ের আগে? স্নেহা বলেন, সংলাপ তখন প্রেমিক। দুজনে মিলে বেরোতাম প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখতে। আমরা প্রতি বছর নিয়ম করে ষষ্ঠীতে সারারাত ঠাকুর দেখে সপ্তমীর সকালে গঙ্গায় কলাবউ স্নান দেখে ফিরতাম।এখন আর সেসব হয়না। তবে দিনগুলো মিস করেন স্নেহা। কর্মসূত্রে স্বামী সংলাপ ভৌমিক বছর দুয়েক মুম্বইতে কাটালেও এখন কলকাতাতেই। তাই এবছর তাঁরা দুজন ছেলেকে নিয়ে অভিভাবকত্বের প্রথম পুজো কাটাবেন।