নিজস্ব প্রতিনিধি, আমদাবাদ: ধর্ষণের মতো কালব্যধির কবল থেকে কবে মুক্ত হবে সমাজ তা অজানা। কিন্তু এই কালব্যধির কারণ নিয়ে নানা মুনির নানা মতের মতোই প্রতিদিন নয়া-নয়া তত্ত্ব হাজির করছেন রাজনীতির কারবারীরা। কখনও কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে মেয়েদের পোশাককে, কখনও আবার পাশ্চাত্যের অপসংস্কৃতিকে। এবার মোবাইল ফোনের কাঁধেই দোষ চাপালেন গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি।
কী বলেছেন তিনি? মহামহিম মন্ত্রী মহোদয়ের কথায়, ‘মোবাইল ফোনের কারণে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। কেননা, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনায়াসেই অশ্লীল ছবি (পর্ন ছবি) দেখা যায়। আর সেই ছবি দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন কেউ-কেউ। ফলে ঘটে ধর্ষণের ঘটনা। তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, ‘ধর্ষিতার আত্মীয় কিংবা আপনজনরাই ওই জঘন্য কাজে লিপ্ত। একজন বাবা যখন তার নিজের ঔরসজাত শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে তখন তার পিছনে মোবাইল ফোনের ভূমিকা থাকে।’ মোবাইল ফোনকে কাঠগড়ায় তোলার জন্য তিনি এক সমীক্ষার প্রসঙ্গও টেনেছেন। যদিও কারা ওই সমীক্ষা চালিয়েছে, তা খোলসা করেননি গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
পুলিশের অভিভাবক হিসেবে ধর্ষণের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীরও পাশে দাঁড়িয়েছেন সিংভি। কিছুটা ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, ‘ধর্ষণের কোনও ঘটনা ঘটলেই দেখা যায়, পুলিশকে নিশানা করা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশকে এ ক্ষেত্রে দোষ দেওয়া যায় না।’ দেশের মধ্যে গুজরাতই মেয়েদের জন্য সবচেয়ে সুরক্ষিত রাজ্য বলেও দাবি করেছেন সিংভি।