নিজস্ব প্রতিনিধি: এসএসসি(SSC) গ্রুপ-ডি মামলা থেকে শুরু করে নবম দশমে শিক্ষক(Teachers) নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় এল বড় ঝাঁকুনি। প্রায় ১০টি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। তিনি নিজে থেকেই এসএসসি’র গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি(Group-D), নবম দশমের শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে হওয়া মামলা সহ মোট ১০টি মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। যদিও তিনি কেন ওই সব মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সে বিষয়ে তিনি নিজে যেমন কিছু জানাননি, তেমনি কলকাতা হাইকোর্টের তরফেও কিছু জানানো হয়নি। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন(Justice Harish Tandon) এখন ওই সব মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোয় মামলাগুলি নতুন করে কোন বিচারপতির এজলাসে যাবে সেটা ঠিক করবেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চে এসএসসি-র মোট ১০টি মামলার শুনানির কথা ছিল। কিন্তু শুনানির শুরুতেই বিচারপতি ট্যান্ডন জানিয়ে দেন তিনি আর এই মামলা শুনছেন না। শুধু তাই নয়, এ ছাড়াও গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা-সহ মোট ১০টি মামলা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্র সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত কারণ তুলে ধরে গ্ৰুপ-সি, গ্ৰুপ-ডি এবং নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ-সহ মোট ১০টি মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র নিয়োগ সংক্রান্ত একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। সেই কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা। ওই সব মামলায় কলকাতা হাইকোর্টেরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই শান্তিপ্রসাদকেই ঘটনার ‘কিংপিন’ বলে অভিহিত করেছিলেন। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়েই তিনি ঘটনার সিবিআই তদন্তের যেমন নির্দেশ দিয়েছিলেন তেমনি সিবিআই-কে দ্রুত শান্তিপ্রসাদ সহ এসএসসি’র বাকি চার উপদেষ্টাকেও জেরার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের জেরে শান্তিপ্রসাদ কলকাতার নিজেম প্যালেসে গিয়ে সিবিআইয়ের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেও বাকি ৪ সদস্য তা করেননি। তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই জেরা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য। সেই মামলারই শুনানি ছিল এদিন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্র সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু এখন আর এই মামলার শুনানি হচ্ছে না। আগামিকাল এই মামলার শুনানি হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে। সম্ভবত এদিন বিকালের মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব জানিয়ে দেবেন আগামিকাল বা কবে এই মামলার শুনানি হবে আর তা কোন বেঞ্চে হবে।