আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রচণ্ড গরমে পুড়ছে ফিলিপাইন। গরম এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে, নিশ্বাস নেওয়াই কষ্টকর হয়ে পড়েছে ফিলিপাইন নাগরিকদের।তাপপ্রবাহে জনজীবনে নাভিশ্বাস ওঠেছে বলা চলে। তবে এই গরম পড়ায় ফিলিপাইনে দেখা গেল এক অদ্ভূত দৃশ্য। শুনলে চমকে যাবেন! এই তীব্র গরমে দেখা মিলল ডুবে যাওয়া একটি শহর।প্রচণ্ড গরমে বড় একটি বাঁধের জল আংশিক শুকিয়ে গেছে। আর এরপরই শহরটি দেখা গেছে। যে দৃশ্য দেখা গেছে তাতে মনে হচ্ছে বহু দিন থেকে এথানেও জনবসতি ছিল। বাড়ির কিছু ধ্বংসাবশেষ দৃশ্যই শুধু পড়ে আছে। যা দেখে অনুমান করা খুব সহজ এটা বাঁধের জলে তলিয়ে যাওয়া একটি শহর।
জানা গেছে, ফিলিপাইনের পান্তাবাঙ্গান নামের ওই শহর ৩০০ বছরের পুরোনো। ১৯৭০-এর দশকে জল সংরক্ষণের জন্য কৃত্রিম জলাধার তৈরির সময় এটি জলের তলায় তলিয়ে যায়। আবহাওয়া যখন অনেক শুষ্ক ও গরম থাকে, তখন বাঁধের জল শুকিয়ে যায়। এর ফলে শহরটি কখনো কখনো দৃশ্যমান হয়ে ওঠে, যা একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। ফিলিপাইনের বাঁধগুলো দেখভাল করার জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্থা রয়েছে। সএই সংস্থার কতৃপক্ষ প্রকৌশলী মারলন পালাদিন বলেন, ‘তলিয়ে যাওয়া শহরটি আগে দৃশ্যমান হলেও এবারের মতো এতটা দৃশ্যমান হয়নি। তবে বাঁধের জল শুকিয়ে গেলে দেখা মেলে এই শহরের।’
ফিলিপাইনের প্রায় অর্ধেক জায়গায় এখন প্রবল খরা চলছে। কিছু জায়গায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পৌঁছেছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে লাখ লাখ মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল। এমতবস্থায় ঝুঁকি নিতে চাইছেন না কেউ। চাকরিজীবীদের কর্মস্থলে না গিয়ে তাই বাড়ি থেকে কাজে যুক্ত হওয়ার কথাও বলা হয়েছে। তবে এইসময় সকলেই নজরে রাখেন বাঁধের দিকে। কারণ জল শুকিয়ে গেলেই দেখা মেলে সেই তলিয়ে যাওয়া শহরের।