নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের বন্দরনগরী হলদিয়া(Haldia)। একসময় তা ছিল বাম সাংসদ তথা নেতা লক্ষ্মণ শেঠের খাস তালুক। পরিবর্তনের পরে তা আস্তে আস্তে পরিণত হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) খাস তালুকে। সেই তালুক যে এখনও শুভেন্দুর হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে এমন নিদর্শন চট করে চোখেও পড়ে না। বরঞ্চ শুভেন্দুর হাত ধরেই হলদিয়া এখন বিজেপিমুখী হয়ে উঠেছে। সেই হলদিয়াতে দাঁড়িয়েই শুভেন্দুকে আক্রমণ শানলেন রাজ্যের রাজ্যের সেচ ও জলপথ দফতরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র(Soumen Mahapatra)। শনিবার হলদিয়ার চৈতন্যপুরে পূর্ব মেদিনীপুর শিক্ষক শিক্ষন মহাবিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন কুমার মহাপাত্র৷ সেখানে শুভেন্দুকে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সৌমেন মহাপাত্র তাচ্ছিল্যের সুরে আক্রমণ শানেন শিশিরপুত্রকে।
অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল সিবিআই। কিন্তু তিনি ভর্তি হয়ে গিয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। সেই ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেছিলেন ‘চোর ধরো জেলে ভরো৷’ শুভেন্দুর ওই মন্তব্য নিয়ে এদিন সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেছিলেন সৌমেন মহাপাত্রকে। তার উত্তরেই সৌমেনবাবু জানান, ‘শুভেন্দু এখন অবসাদে ভুগছেন৷ অবসাদ থেকে কাটিয়ে উঠতে এবং প্রচারের আলোয় আসতে ভুলভাল বকে চলেছেন৷ এই ধরনের কথা বলে যদি শুভেন্দু তৃপ্তি পান তাহলে বলুক৷’
পাশাপাশি এদিন সাংবাদিকেরা মাওবাদীদের(Maoist) ডাকা গতকালের বাংলা বনধে জঙ্গলমহলের(Junglemahal) একটা বড় অংশে প্রভাব পড়ার ঘটনায় মাওবাদীদের উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন করেন। কেননা পুলিশ এখনও স্বীকার করতে চাইছে না যে জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের উপস্থিতি রয়েছে। কিন্তু আমজনতার দাবি মাওবাদীদের অনুপ্রবেশ ঘটছে জঙ্গলমহলের বুকে। সাংবাদিকদের সেই প্রশ্নের উত্তরে সৌমেনবাবু এদিন জানান, ‘জঙ্গলমহলে মাওবাদী বলে কেউ নেই৷ সেখানকার অনুন্নয়নকে হাতিয়ার করে এক সন্ত্রাসবাদী দল গড়ে উঠেছিল৷ তারা জঙ্গলমহলের মানুষদের সরলতার সুযোগ নিয়েছিল৷ তবে ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছিলেন৷ এখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে৷ মাওবাদী বলে কেউ নেই। কিছু বিরোধী পক্ষের মানুষ মাওবাদীদের নাম করে পোস্টার দিচ্ছে আর সন্ত্রাস করে চলেছে৷’