নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনা বিধি নিয়ে ক্রমশ আরও কড়া হচ্ছে দিল্লি প্রশাসন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল করোনা মহামারি রুখতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনকি করোনা টিকার ক্ষেত্রেও একাধিক সরকারি সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গিয়েছে আপ সরকারকে। কিন্তু তাতেও সাধারণ মানুষের সচেতনতার ক্ষেত্রে খামতি কোথাও না কোথাও থেকেই যাচ্ছে। আর মূলত সেই কারণেই এবার করোনা টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের ওপর নতুন বিধিনিষেধ জারি করল দিল্লি সরকার। শুক্রবার দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনও সরকারি কর্মচারী যদি কোনও করোনা টিকার একটা ডোজও না নেন তাহলে আগামী ১৬ অক্টোবরের পর থেকে তাঁকে অফিসে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। পাশাপাশি রাজধানীর সমস্ত সরকারি কর্মচারীদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এদিন দিল্লি প্রশাসনের তরফ থেকে একটি সরকারি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, যেসমস্ত সরকারি কর্মচারীরা এখনও পর্যন্ত কোনও করোনা টিকার একটা ডোজও নেননি, তাঁরা আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে আর অফিসে আসতে পারবেন না। তাঁদের ততদিন পর্যন্ত ছুটিতে থাকতে হবে যতদিন না তাঁরা করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেন। এই বিধিনিষেধ লাগু হতে চলেছে সমস্ত স্তরের সরকারি কর্মচারীদের ওপর। শিক্ষক থেকে করোনা যোদ্ধা সকলকেই আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে সরকারের এই সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে।
এমনকি কোনও সরকারি কর্মচারী আদৌ করোনা টিকা গ্রহণ করেছেন কিনা এরপর থেকে সেটাও যাচাই করা হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেক কর্মীর ফোনে থাকতে হবে আরোগ্য সেতু অ্যাপ। সেই অ্যাপের মাধ্যমেই কর্মীদের ভ্যাকসিনের শংসাপত্রটি যাচাই করবেন প্রত্যেক সরকারি স্তরের বিভাগীয় প্রধানরা।
এই প্রসঙ্গে দিল্লি সরকারের তরফ থেকে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে তাতে লেখা রয়েছে, ‘যে সমস্ত কর্মীরা আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে করোনার টিকা (অন্তত প্রথম ডোজ) না নেবেন, তাঁদের আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে নিজ নিজ অফিস /স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান /শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।’