এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষ্যদর্শী নিরঞ্জনের বাড়িতে সিবিআই

নিজস্ব প্রতিনিধি:  ঝালদায় (Jhalda) কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন সেফাল বৈষ্ণব ওরফে নিরঞ্জন। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি। উদ্ধার হয়েছিল সুইসাইড নোট। নিরঞ্জনের আত্মহত্যার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে। বৃহস্পতিবার নিরঞ্জনের বাড়িতে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মৃতের বৌদি পবিতা বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধি দল।

জানা গিয়েছে, এদিন সিবিআই (CBI) প্রতিনিধি দলের ৫ প্রতিনিধি দল নিরঞ্জনের বাড়িতে (১০ নম্বর ওয়ার্ড) যান। যেখানে আত্মহত্যা করেছিলেন সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। যেই বাঁশে ঝুলেছিল মৃতের দেহ, সেই বাঁশ থেকে মেঝের দূরত্বের মাপ নেয় প্রতিনিধি দল। সূত্রের খবর, এলাকাবাসীর সঙ্গেও কথা বলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা।

প্রসঙ্গত, ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল ৬ এপ্রিল সকালে। পরিবারের অভিযোগের তির ছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরের দিন মৃতের দাদা ঝালদা থানায় পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনের জন্য সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল। এই মামলায় ঝালদা কাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীর আত্মহত্যার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।

পুলিশের বিরুদ্ধে নিরঞ্জনের পরিবারের অভিযোগ ছিল, কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে দিনের পর দিন নিরঞ্জনের ওপর আসলে অত্যাচার করা হয়েছে। ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে ও সাদা কাগজে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে বয়ান। মানসিক চাপ দেওয়ার অভিযোগও তোলা হয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ৬ এপ্রিল আত্মহত্যার দিন সকাল থেকে আত্মহত্যাকারীর মোবাইল ভ্যানিশ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ছিল। সেই কথাও লেখা রয়েছে অভিযোগপত্রে। ঘটনার সত্যতা উদঘাটনের জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে নিরঞ্জনের পরিবার। উল্লেখ্য, সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ার দিনই এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। প্রসঙ্গত, খুন হওয়া কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা বলেছিলেন, নিরঞ্জন ছিলেন তপন খুনের প্রত্যক্ষদর্শী। তপনের মৃত্যুর পরেও তাঁর বাড়িতে যাতায়াত ছিল নিরঞ্জনের। এমনকি আত্মহত্যা করার আগেরদিনও এসেছিলেন নিরঞ্জন, বলে দাবি করেন পূর্ণিমা। তপনের স্ত্রীর দাবি, নিশ্চয়ই পুলিশ চাপ দিচ্ছিল নিরঞ্জনকে। তা সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন নিরঞ্জন।

পূর্ণিমা এই ঘটনাতেও দাবি জানিয়েছিল সিবিআই তদন্তের। প্রসঙ্গত, তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেছিলেন, মৃত্যুর খবর অত্যন্ত শোকের কিন্তু যে কোনও তদন্তেই জেরা করতে হয়। এটা পুলিশের কাজ। তিনি এও বলেন, পুলিশ কখনও প্রভাবিত করেনি নিরঞ্জনকে। প্রসঙ্গত, ঝালদার কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো বলেন, পুরানো ঝালদা থানায় আগুন লাগার ঘটনারও তদন্তভার যাতে সিবিআই হাতে নেয়।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

এবার দু ‘লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতব নির্বাচনে : কাকলি ঘোষ দস্তিদার

‘সিপিএম কিনলে কংগ্রেস ফ্রি, কংগ্রেস কিনলে সিপিএম ফ্রি’, দাবি মমতার

‘মানুষ কাঁদছে, বিজেপি হারছে, বুক দুরুদুরু করছে’, দাবি মমতার

‘অধীর চৌধুরীকে তৃণমূল বুঝিয়ে দেবে, বহরমপুর কার গড়’, দাবি নাড়ুগোপালের

সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ দেবাশিস ধর, মামলা শুনতে সম্মত শীর্ষ আদালত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর