আজ ১মা।
দিনটি আন্তর্জাতিক শ্রমিকদিবস হিসেবেই পালিত। প্রথম আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত হয় ১৮৮৬ সালে, আমেরিকায়। ভারতে প্রথম পালিত হয় ১৯২৩ সালে। ওই বছর হিন্দুস্তান লেবার কিষাণ পার্টি আয়োজন করে শ্রমিক দিবস। কম-বেশি আমরা সকলেই জানি, কেন এই দিনটি শ্রমিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। দিনে আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলন।
কিন্তু অতিমারীর সময়টুকু বাদ দিলে লক্ষ্য করা যাবে, আন্তর্জাতিক শ্রমিকদিবস তার গরিমা হারিয়েছে। যে দেশের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই দিনটি বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে, সেই আমেরিকাতেও বিশেষ এই দিনটি পালনে তেমন কোনও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। নেই কোনও আয়োজন। অনেকের ধারণা, যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে শ্রমিকদিবস উদযাপনে ভাঁটা পড়েছে। এখন মে দিবস পালন ব্যাপারটা দাঁড়িয়ে গিয়েছে রুটিন কাজের মতো। না করলেই নয়, তাই করা।
সুশীল সমাজের একাংশের মতে, যাদের কথা ভেবে মে দিবস পালন, সেই শ্রমিকদের কল্যাণের কথা কতজন ভাবেন? করোনাকালে যে সব শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন, তাদের অবস্থা আজ ভয়াবহ। অন্য দেশের কথা না হয় বাদ দেওয়া যেতে পারে। ভারতের কথাই ধরা যাক।
ভারতে করোনাপর্বের কথা বাদ দিলে বিগত বছরগুলিতে ঘটা করে পালিত হত আন্তর্জাতিক শ্রমিকদিবস। আচমকাই সে যেন হারিয়েছে তাঁর জৌলুস। এর কারণ বোধহয়, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এখন নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। তাই, হতদরিদ্র শ্রমিকদের কথা তাদের ভাবতেই বয়ে গেছে। হয়তো কিছু মানুষ রয়েছেন, তাদের জন্য কাজ করে চলেছেন। তাঁদের পরিবারের অন্নসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। আজকের এই বিশেষ দিনে সেই সব মানুষের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।