নিজস্ব প্রতিনিধি: নিম্নচাপ এবং কালবৈশাখীর ধাক্কাতেই অনেকটাই কমে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিনেও ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস(Weather) রয়েছে। তার জেরে পারা আরও নামতে পারে। এই পরিস্থিতিতে টানা ৪৫ দিন গরমের ছুটি(Summer Holiday) বাতিল করে স্কুল(School) খুলে দেওয়ার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন এক অভিভাবক। সেই মামলাই মঙ্গলবার শুনানির জন্য ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই আদালত জানিয়ে দিল, কেন টানা ৪৫ দিন স্কুল বন্ধ থাকবে তা রাজ্য সরকার(State Government) আগামী ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাক। আগামী ২০ মে রয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
মঙ্গলবার এই মামলার আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে অভিযোগ করে বলেন, ‘আবহাওয়ার পূর্বাভাস বিশ্লেষণ না করে, কোনও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়াই পর পর দু’টি নোটিস দিয়ে ৪৫ দিনের গরমের ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। ২ মে থেকে সেই গরমের ছুটি পড়েছে। এর জন্য দু-দুটো নোটিস দেওয়া হয়েছে। প্রথম নোটিসে গ্রীষ্মের ছুটি ছিল ১২ দিনের। দ্বিতীয় নোটিস তা বাড়িয়ে ৪৫ দিন করা হয়েছে। আর তা নিয়েই আপত্তি তুলেছেন অভিভাবক ও শিক্ষক শিবিরের একটা বড় অংশ। তাঁদের বক্তব্য, কোভিডকালে পড়াশোনার বিস্তর ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। ফের এত দিনের টানা ছুটিতে পাঠ্যক্রম শেষ করা যাবে না। কার্যত কোনও কিছু বিবেচনা না করেই স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন আবহাওয়া বদলে গিয়েছে। তাই স্কুল খোলার নির্দেশ দেওয়া হোক।’ এরপরেই রাজ্যের বক্তব্য হলফনামা আকারে জমা দিতে বলে আদালত।