এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দুর্গা পিতুরি লেনের ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে ক্ষমা চাইল মেট্রো কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে মাথা নোয়াল ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো(East West Metro) রেল কর্তৃপক্ষ। মধ্য কলকাতার(Kolkata) বউবাজার(Bowbazaar) এলাকার দুর্গা পিতুরি লেনে(Durga Pituri Lane) যে বিপর্যয় নেমে এসেছে তার মূলে যে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মাণ কাজ ও কর্তৃপক্ষের গাফিলতি তথা অবহেলা রয়েছে সেটা শুক্রবারই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। শুধু মেট্রো কর্তৃপক্ষকেই যে তিনি কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তাই নয়, কাঠগড়ায় তোলেন মেট্রোর নির্মান কাজের সঙ্গে জড়িত কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড বা কেএমআরসিএল-কেও। দুই সংস্থাকেই তিনি ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের প্রতি মানবিক হওয়ার কথাও জানান। সেই কড়া বার্তার পরেই শনিবার দুর্গা পিতুরি লেনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও কারিগরদের কাছে ক্ষমা চাইলেন ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

এদিন দুপুরে দুর্গা পিতুরি লেনে যান ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রেলের আধিকারিক ও কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের উচ্চপদস্থ কর্তারা। সেখানে গিয়ে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। কার্যত হায়জোড় করে এদিন তাঁদের ক্ষমা চাইতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি, তাঁদের যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন তাঁরা। ক্ষতিগ্রস্তদের সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে সমন্বয়সাধনের জন্য একটি দলও গঠন করেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রোর কাজের জন্য ফাটলের জেরে বিপাকে পড়া বাসিন্দাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন তাঁরা। বলেন, ‘এই অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত। যতটা সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।’ কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, বৌবাজারের ফাটল ধরা ৯টি বাড়ির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ওই বাড়িগুলি ইতিমধ্যেই খালি করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, মোট ১৪১ জন বাসিন্দাকে হোটেলে স্থানান্তরিত করেছেন কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, একটি কোঅর্ডিনেশন টিম গঠন করা হয়েছে। তাতে স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে এবং কেএমআরসিএল-এর এক প্রতিনিধি থাকবেন বলে সূত্রের খবর।

বস্তুত গতকাল ফিরহাদ হাকিম, স্থানীয় বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে’র উপস্থিতিতে এক বৈঠকে বসেছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রেলের আধিকারিকেরা। সেখানে ছিলেন কেএমআরসিএল-এর ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকেরাও। ছিলেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার, ব্যবসায়ী ও কারিগরদের প্রতিনিধিরাও। সেখানেই ফিরহাদের প্রশ্নের মুখে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েন ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর আধিকারিক এবং কেএমআরসিএল-এর ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকেরা। ফিরহাদ তাঁদের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, ‘২০১৯ সালের বিপর্যয়ের পরেও কী করে একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল? তাহলে কি ধরে নিতে হবে, কেএমআরসিএল যথাযথ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়নি?’ যদিও ওই বৈঠকে কেএমআরসিএলের দাবি ছিল, সবরকমের সতর্কতামূলক ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কেন সুড়ঙ্গে জল ঢুকল, তার বিস্তারিত তদন্ত হবে। মেয়র অবশ্য সেখানেই থেমে যাননি। সাফ জানিয়ে দেন, কলকাতা পুরনিগমের সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা হয়েছে। তাঁরা একটি বিশেষজ্ঞ টিম পাঠাবে এলাকায় যারা সব ঘুরে বিস্তারিত রিপোর্ট দেবে। সেই সঙ্গে পুরনিগমের তরফে এলাকার মাটি পরীক্ষা করা হবে। একইরকম ভাবে ফাটলধরা বাড়িগুলির স্বাস্থ্যপরীক্ষাও করা হবে। ওই বৈঠকেই মেয়র সমীক্ষার ডিজাইন-সহ একাধিক বিষয়ে কেএমআরসিএলের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে বলেন। কলকাতা পুরনিগমের বিশেষজ্ঞ কমিটি ওইসব রিপোর্ট খতিয়ে দেখে একটি বিশ্লেষণী রিপোর্ট তৈরি করবে। ওই কমিটিতে থাকছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দু’জন অধ্যাপক-সহ পুরনিগমের বিল্ডিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরের আধিকারিকেরাও।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সোমবার থেকে বঙ্গে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা উধাও, ধেয়ে আসছে ঝড় – বৃষ্টি

শ্লীলতাহানির অভিযোগ: রাজভবনের কর্মীদের মুখ বন্ধের নির্দেশ রাজ্যপালের

সম্পত্তি হাতাতে ভাইকে পিটিয়ে খুন, নিউটাউনের বাড়ি থেকে উদ্ধার মৃতদেহ

‘সন্দেশখালি বিজেপি করেছে, সিপিএম আর কংগ্রেস ধুনো দিয়েছে’, দাবি কুণালের

সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনছেন না কেন, রাজ্যপালকে নিশানা অভিষেকের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর