নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া রাজ্যে। এবার দুর্গাপুরে এক মা তাঁর মৃত ছেলের দেহ আগলে বসে থাকলেন। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। সোমবার সকালে মৃত যুবকের পচা গলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জনা গিয়েছে, দুর্গাপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের সেকেন্ডারি রোডের দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ৩১/১৬ নম্বর আবাসনে থাকতেন সুশীল জানা নামের এক ব্যক্রি। ওই বাড়িতে সুশীলের সঙ্গে থাকতেন তাঁর বৃদ্ধা মা। স্থানীয়রা জানান সুশীল জানার বয়স ৪০ এর কোঠায়। তিনি মানসিকভাবে ‘সুস্থ’ ছিলেন না বলে দাবি স্থানীয়দের। একটি দোকানে কাজ করতেন সুশীল জানা। সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়ায় কাজে যেতে পারছিলেন না তিনি। গত ৪ দিন ধরে বাড়িতেই ছিলেন ওই ব্যক্তি।
সুশীলবাবুর পাশের ঘরেই সপরিবারে থাকেন তাঁর দাদা সুনীল জানা। কাকার মৃত্যু নিয়ে সুশীল জানার ভাইঝি শ্রেয়শী জানা বলেন, ‘কাকাকে তিনদিন আগে শেষবার দেখেছিলাম। আমাদের সঙ্গে কাকার সম্পর্ক বিশেষ ভাল ছিল না। আজ সকালে ঠাকুমা আমার মায়ের কাছে কাকার চিকিৎসার জন্য টাকা চাইতে আসেন। সেই সময় আমাদের এক প্রতিবেশী গন্ধ পান। উঁকি দিতেই দেখেন খাটে কাকার পচা গলা দেহ পড়ে রয়েছে। ঠাকুমা এতদিন দেহ আগলে রেখেছিলেন।’ এর পর ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। খবর কৌতুহলী মানুষ সুশীল বাবুর বাড়িতে ভিড় জমায়। খবর দেওয়া হয় থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্তকারীরা। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি মৃত ব্যক্তির মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ। কী ভাবে মৃত্যু হল, কবে মৃত্যু হল তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত সুশীল জানার মায়ের কথায় যথেষ্ট অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। তাঁর মা’ও মানসিকভাবে সুস্থ নয় বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।