নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লি: বিচারপতি বা বিচারক- তারাও আর পাঁচজন মানুষের মতো। বাকিদের মতো তাদেরও ক্ষুদা-তৃষ্ণা আছে। বাকিদের মতো বিচারপতিদেরও অস্বাভাবিক মানসিক চাপ নিয়ে মামলার নিষ্পত্তি করতে হয়। তাই, তাদের ভগবান মনে করার কোনও কারণ নেই। সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এই মন্তব্যে করেছেন। এদিন তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হল। এল নাগেশ্বর রাওয়ায়ের বিদায় সম্বর্ধনা দিতে সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স হলে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাগেশ্বর রাও ওই মন্তব্য করেন।
অবসরের দিন অনেকটাই আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন সর্বোচ্চ আদালতের প্রবীণ বিচারপতি। সহকর্মীদের থেকে বিদায় জানাতে গিয়ে বিচারপতি বলেন, ‘গত ২২ বছর ধরে আমি এই বার অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য ছিলাম। প্রত্যেক সহকর্মীর থেকে যে সহযোগিতা পেয়েছি, তা কথায় প্রকাশ করতে পারব না। সহযোগিতা পেয়েছি অনেক তরুণ আইনজীবীর থেকেও। প্রত্যেকের কাছে আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব। যে আশা নিয়ে আমায় ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের অন্যতম বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল, মনে হয় সেই আশা আমি পূরণ করতে পেরেছি। ’
বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তাদের উদ্দেশ্যে বিদায়ী বিচারপতি বলেন, তাঁর কোনও মন্তব্য়ে এই দুই আঘাত পেয়ে থাকেন, তার জন্য তিনি দুঃখপ্রকাশ করছেন। নাগেশ্বর রাও বলেন, ‘কোনও কোনও মামলার শুনানিতে হয়তো একটু উচ্চস্বরে কথা বলে ফেলেছিলাম। সেই উচ্চস্বরে কথা আপনাদের আঘাত করে থাকলে আমি তার জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি। ’
আরও পড়ুন জেল থেকে ছাড়া পেলেন শিনা বোরা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়