নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘অকাল বোধন’ সবাই জানেন। দেবী দুর্গার আরাধনা হত বসন্তে। রামচন্দ্র ‘অকাল বোধন’ করে দেবীর আরাধনা করেছিলেন শরৎকালে। হৃদয়ে রঙ লাগলেও বসন্তকাল না থাকলেও আসে ‘অকাল বসন্ত’। তবে অকাল জামাই ষষ্ঠী! আগে শুনেছেন? তাই হয়েছে। আর তা ঘটিয়ে ফেলেছেন ফুটবলের জাতীয় দলের গর্ব সুনীল ছেত্রী (SUNIL CHHETRI)।
জাতীয় দলের খেলা থাকায় জামাই ষষ্ঠীতে (JAMAI SASTHI) শ্বশুরবাড়িতে আসতে পারেননি সুনীল ছেত্রী। অবশেষে এলেন বৃহস্পতিবার। আর এই দিনেই হল জামাই ষষ্ঠী। আর তদারকি করলেন শ্বশুরমশাই। শ্বশুর সুব্রত ভট্টাচার্যের হাত ধরেই প্রথম জীবনে খেলা শুরু হয়েছিল সুনীলের। পরবর্তীকালে তাঁর মেয়ে মেমের সঙ্গেই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সুনীল। এদিন শ্বশুর বাড়িতে সুনীল এসেছিলেন হালকা সবুজ পাঞ্জাবী এবং সাদা পাজামা পরে। গায়ে ছিল নীল ও সবুজ রঙের ডিজাইন করা জহর কোট।
সম্প্রতি এশিয়ান কাপের কোয়ালিফায়ারে দুর্দান্ত খেলে সকলের মন জয় করেছেন সুনীল। সেই উত্তেজনা ও আনন্দে মজে ভক্তরা। তারপর ‘অকাল জামাই ষষ্ঠী’র খবরে আবারও মন ভাল সুনীলপ্রেমীদের। সকলেই উৎসাহী হয়ে জানতে চাইছে কী ছিল পাতে? চিকেন কারি, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, পাঁচ ধরণের ভাজা, ফুলকপির রোস্ট, পাঁচ মেশালি তরকারি, মোচার চচ্চড়ি, আলুপোস্ত, পনিরের ডালনা, ধোকার ডালনা, পায়েস, রসগোল্লা, সন্দেশ, রাবড়ি, লিচু, আম সহ কত কী! তবে সুনীল নিরামিষাশী। তাই খেলেন নিরামিষ পদই। আর শ্বশুর বাড়িতে তাঁকে বরণ করে নেওয়া হয়েছিল আলতা জলে পা ধুইয়ে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (আজ) দিল্লি যাওয়ার কথা সুনীল ছেত্রীর।