নিজস্ব প্রতিনিধি, জয়পুর: দেশের খাকি উর্দিধারীরাও যে ক্রমশই ধর্মান্ধ হয়ে পড়েছেন শনিবার বিকালেই তার প্রমাণ মিলল জয়পুরে (Jaipur)। আদালত থেকে ফেরত নেওয়ার সময়েই পুলিশের চোখের সামনে উদয়পুরে দর্জি খুনের (Udaipur Tailor Murder) ঘটনায় অভিযুক্তদের (Accused) গণধোলাই দিল আইনজীবী (Lawyear) এবং ক্ষুব্ধ জনতার একাংশ (Mob)। আর পুরো ঘটনা দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে উপভোগ করলেন আইনের রক্ষকরা। ফের একবার প্রমাণ হল, ধর্মীয় বিদ্বেষের বিষ কীভাবে গোটা সমাজেই কালব্যাধি হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত মঙ্গলবার সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী (Suspended BJP Leader) নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) সমর্থনে ফেসবুক পোস্টের জেরে উদয়পুরে (Udaipur) নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছিল হিন্দু দর্জি কানাহাইয়া লালকে (Kanhaiya lal)। দোকানে ঢুকে তাঁকে নৃশংসভাবে কোপানোর পরে মুণ্ডুচ্ছেদ করেছিল মোহাম্মদ ঘোস (Mohammad Gos) ও মোহাম্মদ রিয়াজ (Mohammad Riaz) নামে দুই যুবক। ওই নৃশংশ খুনের ঘটনার ভিডিয়ো ফেসবুকে পোস্ট করেছিল খুনিরা। আর তা দেখার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন স্থানীয়রা। উদয়পুর সহ রাজস্থানের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ওই দিন রাতেই রাজাসমন্দ থেকে দুই খুনিকে গ্রেফতার করেছিল রাজস্থান পুলিশ।
এদিন জয়পুরের এনআইএ আদালতে (NIA Court) দর্জি খুনের ঘটনায় ধৃতদের পেশ করা হয়েছিল। এনআইয়ের আইনজীবীর দাবি মেনে ধৃতদের আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। আদালত চত্বর থেকে আসামিদের প্রিজন ভ্যানে তোলার সময়েই অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে আইনজীবী ও উত্তেজিত জনতার একাংশ। চার অভিযুক্তকে লক্ষ্য করেই শুরু হয় কিল, চড়, ঘুসি, লাথি। আসামীদের গণধোলাইয়ের সময়ে নীরব দর্শক হয়েছিল পুলিশ। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে নড়েচড়ে বসে খাকি উর্দিধারীরা।