নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২০ সালে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর বলিউডের স্বনামধন্য গীতিকার জাভেদ আখতার কে নিয়ে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। যিনি বলিউডের বাঘিনী অভিনেত্রী হিসেবেই খ্যাত।স্পষ্ট কথা বলতে তাঁর ঠোঁট কাঁপেনা কখনই। যদিও এই মন্তব্যের পরেই জাভেদ আখতার অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। আর সেই মামলার শুনানির তারিখ ছিল গত ৪ জুলাই। জাভেদ আখতার অভিনেত্রী কঙ্গনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলায় হাজিরা দিয়েছেন অভিনেত্রী। গত ৪ জুলাই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তবে অভিনেত্রী এই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করার সময় শুধুমাত্র তাঁর বোন এবং তাঁর পক্ষের আইনজীবীকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করেছিলেন।
বোন রঙ্গোলি চন্দেলের উপস্থিতিতে, কঙ্গনার দাবি, অভিনেতা হৃতিক রোশনের কাছে ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করার জাভেদ আখতার বিরক্ত হয়েছিলেন তাঁর প্রতি। তাঁর কথায়, ‘আমি জাভেদ আখতারের বিনয়কে অপমান করেছি।’ এদিন হাজিরা দিতে এসে অভিনেত্রীর আরও অভিযোগ, বিখ্যাত গীতিকার তাঁকে ভয়ানক পরিণতি হওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন। কঙ্গনার কথায়, “আমি হৃত্বিক রোশনের কাছে ক্ষমা চাওয়া অস্বীকার করায় জাভেদ আখতার বিরক্ত হয়েছিলেন। প্রতারকদের দাঁড় করিয়ে দিতে বেশি সময় নেব না। আপনার সম্পর্ক হৃত্বিকের সঙ্গে নয়, ছিল প্রতারকদের সঙ্গে। আর এটা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে আপনার মুখ কালো হবে, জনসাধারণের কাছে কুখ্যাত হবেন। আত্মহত্যা ছাড়া উপায় থাকবে না। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে, তাই এক্ষুনি ক্ষমা চেয়ে নিজেকে বাঁচান।”
কঙ্গনা রানাউত আরও জানিয়েছেন যে, জাভেদ আখতার তাঁকে আত্মহত্যার প্ররোচনাও করেছিল, যা তাঁর মানসিক অস্থিরতার কারণ হয়েছিল৷ ঘটনার সূত্রপাত, নভেম্বর ২০২০ সালে, যখন জাভেদ আখতার কঙ্গনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, গীতিকার দাবি করেছেন যে কঙ্গনা একটি সাক্ষাত্কারের সময় তাঁর নাম টেনে মানহানি করেছিলেন।