নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: ট্রেনের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন ১২ জন পর্যটক। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন আরও পাঁচজন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। নিহত ও আহতদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা দেড়টা নাগাদ ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হাটহাজারি উপজেলার বড়তাকিয়া রেল স্টেশনের (Bartakia Railway Station) কাছে। ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরেই ওই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
মিরসরাই থানার ওসি (Mirsarai Police Station officer in-charge) কবীর হোসেন (Kabir Hossain) জানিয়েছেন, হাটহাজারি উপজেলার আমিনবাজারের ১৫ জন বাসিন্দা এদিন খৈয়াছড়ায় পাহাড়ি ঝর্না দেখতে যাচ্ছিলেন। মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া রেলস্টেশনের ((Bartakia Railway Station) কাছে লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে আচমকাই ওই মাইক্রোবাসটি রেললাইনে উঠে যায়। সেই সময় ওই লাইন ধরে দ্রুত গতিতে ছুটে আসছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের আন্তঃনগর এক্সপ্রেস। মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা মেরে প্রায় এক কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায়। দুমড়ে-মুচড়ে যায় মাইক্রোবাসটি। থেঁতলে যান বাসের ভিতরে থাকা যাত্রীরা।
চোখের সামনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা দেখে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ট্রেনের যাত্রীরাও উদ্ধারকার্যে হাত লাগান। ১২ জনের থ্যাঁতলানো দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে গুরুতর জখম পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কীভাবে ট্রেন আসার সময়ে লেভেল ক্রসিং ডিঙিয়ে বাসটি রেললাইনে উঠে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মফিজুল হক জানিয়েছেন, দুঘর্টনার সময় লেভেল ক্রসিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রহরী ছিলেন না। তিনি জুম্মার নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছিলেন। যদিও ওই দাবি মানতে চাননি রেল আধিকারিকরা।