নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: শাসকদল আওয়ামী লিগের স্থানীয় এক নেতাকে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত ১৩ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। পাশাপাশি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক জরিমানা ও আনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিন ২১ জনের শাস্তি ঘোষণা করা হলেও পাঁচ আসামি পলাতক রয়েছে। নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তে নিহত নেতার পরিবার খুশি হলেও রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসামিরা।
পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তর পৌরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল হক। নির্মমভাবে তাঁকে কোপানো হয়। তিনি যে অটোরিকশায় চেপে বাড়ি ফিরছিলেন তার চালককে বেধড়ক মারধর করা হয়। জহিরুল হকের আর্ত চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় জহিরুল ও অটোচালককে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওইদিন রাত আটটা নাগাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়েন জহিরুল।
পরের দিন নিহত আওয়ামী লীগ নেতার ভাই কবির হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানায় খুনের মামলা রুজু করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তদের মধ্যে ১৬ জনকে গ্রেফতার করে। মামলার তদন্তকারী আধিকারিক ২১ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। পলাতক পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
রবিবার দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মামলার রায়ে ২১ জনের মধ্যে ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনান। বাকি আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন।