নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ভয়াবহ লঞ্চ দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা। মাঝনদীতে বিদ্বংসী আগুনে পুড়ে মৃত্যুর দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন ৪১ জন। এখনও ঢাকা সহ বিভিন্ন হাসপাতালে জীবনমৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ৪৬ জনের মতো। আর নিখোঁজের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা কিছুতেই কাটছে না। ঝালকাঠির নদীতে লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার মাঝেই চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার মত চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত ৫০ বছরে বিভিন্ন নদীতে মোট ২ হাজার ৫৭২টি নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর সেই দুর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ হাজার ৫০৮ জন। অর্থাৎ বছরে গড়ে মারা গিয়েছেন ৪১০ জন। মাসে গড়ে ৩৪ জন। আহতের সংখ্যার হিসেব নেই। ৩ হাজার ৪১৭ কোটি ২০ লাখ টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। যত দুর্ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে বড় দুর্ঘটনার সংখ্যা ৫৬৫টি। আর তাতে প্রাণ হারিয়েছেন নয় হাজারের যাত্রী। ৮০ ভাগ লঞ্চ দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে ত্রুটিপূর্ণ নকশার নৌযান ও অদক্ষ চালক।
এদিন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান দেশের নৌ দুর্ঘটনার তথ্য প্রকাশ করার পাশাপাশি প্রশাসনের গয়ংগচ্ছ মনোভাব নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁর কথায়, ‘৫৬৫টি বড় নৌ দুর্ঘটনার পরে ৮৬৩টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির পক্ষ থেকে একাধিক সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত কমিটির রিপোর্ট যেমন জনসমক্ষে আনা হয়নি, তেমনই কোনও সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়নি।’