নিজস্ব প্রতিনিধি: এক বছরে বাংলাদেশে আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছে ৫৩২ জন পড়ুয়া (Student)। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আত্মহত্যার পিছনের কারণ হিসেবে রয়েছে অভিমান। শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশন (Achal Foundation)।
শুক্রবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৫৩২ জন পড়ুয়া ২০২২ সালে আত্মহত্যা করেছে। তাদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের পড়ুয়া রয়েছে ৪৪৬ জন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া রয়েছেন অন্তত ৮৬ জন। আত্মঘাতী পড়ুয়াদের মধ্যে সেদেশের মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রয়েছে ৫৪ জন। আত্মহত্যাকারী পড়ুয়ারা নানান কারণে চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা। আঁচল ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, জীবদ্দশায় নানা বিষয়ের সম্মুখীন হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে পড়ুয়ারা। তবে সবচেয়ে বেশি যে কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে তা মান অভিমানের কারণে। সংস্থাটি জানায়, ২৭.৩৬ শতাংশ স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন অভিমানে। প্রেমঘটিত কারণে ২৩.৩২ শতাংশ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি পারিবারিক কলহের জেরে ৩.১৪ শতাংশ, হতাশার কারণে ২.০১ শতাংশ, মানসিক সমস্যার কারণে ১.৭৯ শতাংশ, আর্থিক সমস্যার কারণে ১.৭৯ শতাংশ এবং ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার হয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ৩.১৩ শতাংশ পড়ুয়া।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, আত্মহত্যাকারী স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নারী রয়েছেন ৬৩.৯০ শতাংশ এবং পুরুষ রয়েছেন ৩৬.১ শতাংশ। আঁচল ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, স্কুল ও কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে গত বছর জানুয়ারি মাসে ৩৪ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৯ জন, মার্চ মাসে ৪১ জন, এপ্রিল মাসে ৫০ জন, মে মাসে ৪৫ জন, জুন মাসে ৩১ জন, জুলাইয়ে ৪০ জন, আগস্টে ২১ জন, সেপ্টেম্বরে ৩২ জন, অক্টোবরে ৩০ জন, নভেম্বরে ৪৯ জন এবং ডিসেম্বর মাসে ৩৪ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছে।