নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ধর্মনিরপেক্ষতার ধব্জাধারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Prime Minister Sk Hasina) শাসনে বাংলাদেশের হিন্দুদের উপরে লাগাতার হামলা চলছে। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে অগস্ট পর্যন্ত আট মাসে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে ৫৪টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। আর ওই হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় কার্যত হিন্দু সম্প্রদায় ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছে। সামনেই দুর্গাপুজো। গত বছর যেভাবে দুর্গাপুজোয় লাগাতার হামলার মুখে পড়তে হয়েছে, এবারেও তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের (Bangladesh Puja Udjapan Parishad) নেতারা।
আসন্ন দুর্গাপুজো উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকেশ্বরী মন্দির চত্বরে এক বিশেষ সভার আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ (Bangladesh Puja Udjapan Parishad)। সংগঠনের সভাপতি জে এল ভৌমিক (J L Bhowmick) প্রত্যেক পুজোমণ্ডপের সামনে ‘ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের জনজীবনের নিরাপত্তা চাই’ লেখা ব্যানার ঝোলানোর প্রস্তাব দেন। ওই প্রস্তাবে সায় দেন সভায় উপস্থিত পূজা উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিরা। শুধু ব্যানার লাগানোই নয়, সরকারি অর্থানুকুল্যে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় মডেল মসজিদের মতো মডেল মন্দির (Model Temple) করার দাবি জানান তিনি।
জাতীয় সংসদে (Jatiyo Sangsad) ১৮ জন হিন্দু সাংসদ (MP) রয়েছে। অথচ হিন্দু সম্প্রদায়ের (Hindu Community) উপরে হামলার ঘটনা নিয়ে তাঁদের নীরব থাকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মুন্সীগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমর কুমার ঘোষ (Samar Kumar Ghosh)। তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৮ জন সাংসদ রয়েছেন। তারা সেখানে হিন্দুদের উপরে অত্যাচার নিয়ে নীরব। তাঁরা কথা বললে হয়তো বিচার প্রক্রিয়ায় গতি পেত। বিচার হলে মৌলবাদীরা হিন্দুদের উপরে হামলার সাহস পেতেন না।’