নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রায় সাড়ে ৩ মাস পর খোলা হল পাগলা মসজিদের সিন্দুক। মিলেছে শুধু কারি কারি টাকা। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ আটটি সিন্দুক খুলে মিলেছে ২৩ বস্তা টাকা, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা। এখনও গণনা চলছে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসন দায়িত্বের সঙ্গে গণনা প্রক্রিয়ায় সহায়তা করছেন। বাংলাদেশের নরসুন্দা নদীর তীরে এই ঐতিহাসিক মসজিদটি অবস্থিত। তিন থেকে পাঁচ মাস পরপর এই সিন্দুক খোলা হয়।
এর আগে গত ৬ মে ৮টি দানসিন্দুক থেকে ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়া পাওয়া গিয়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা। এই মাসে পাওয়া গেছে রেকর্ড ২৩ বস্তা টাকা। মোট কত টাকা হয়েছে তা গণনার পরেই বলা যাবে।
জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ছয়তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্স তৈরির জন্য মেগা প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে। এতে নারীদের জন্যও আলাদা নমাজের ব্যবস্থা থাকবে। এই নির্মাণে প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।
জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে বর্তমানে নির্মাণ খরচের অর্ধেকের মতো টাকা আছে। পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেওয়া হয়। অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করা হয়।