আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কপালে টিপ পরার করার কারণে লেকচারার লতা সমাদ্দারকে হেনস্থা করেন এক পুলিশ কর্মী। এই নিয়ে উত্তাল হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। নিন্দের ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ। ঘটনার দু’দিন পর অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মীকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে বলে বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
শেরেবাংলা থানার আধিকারিক উত্তম বড়ুয়া জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর নাম নাজমুল তারেক। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিসের সুরক্ষা বিভাগে কাজ করেন বলে জানা গিয়েছে। কপালে টিপ পরার কারণে গত শনিবার ঢাকার রাস্তায় হয়রানির শিকার হন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের লেকচারার লতা সমাদ্দার। শনিবারই তিনি শেরেবাংলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
লতা সমাদ্দার অভিযোগে বলেন, ‘আমি কলেজের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলাম। সেই সময় একজন মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি আমাকে বলেন, টিপ পরছোস কেন? এরপরেই তিনি নোংরা ভাষায় গালি দেন। আমি ঘুরে দেখি, ওই ব্যক্তি বাইকে বসে রয়েছেন। তিনি পুলিসের পোশাক পরে রয়েছেন। তিনি যে ভাষায় গালি দিয়েছেন, আমি স্বামীর সামনেও তা বলতে পারব না। আমি সোজা বাইকের সামনে যাই। তখনও তিনি আমাকে গালি দেন। এরপরেই তিনি আমার পায়ের ওপর বাইক চালিয়ে চলে যান।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় শুরু হয়। রবিবার ঢাকার রাস্তায় এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানো হয়। নারী পুরুষ নির্বিশেষে ঢাকার বহু মানুষ এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন। রবিবার জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংসদ সুবর্ণা মুস্তাফা।