এই মুহূর্তে




আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ফের উত্তাল ঢাকা, নিরাপত্তায় মোতায়েন যৌথবাহিনী




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ফের উত্তাল বাংলাদেশ। দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে শুক্রবার (২১ মার্চ) ফের নখদাঁত বের করে করে ঝাঁপিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী জামায়াত ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি-সহ একাধিক দল। খোদ তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসকে ক্ষমতা থেকে সরানোর হুঙ্কার ছেড়েছে। পাল্টা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ মহলও। রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে যৌথবাহিনী। প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’ সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক। সতর্ক নজর রেখে চলেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশও। সন্দেহজনক কোনও কিছু চোখে পড়লেই চলছে তল্লাশি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের আশঙ্কা, যে কোনও সময়ে যে কোনও কিছু ঘটে যেতে পারে।’

গতকাল বৃহস্পতিবারই (২০ মার্চ) ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস জানান ‘দেশত্যাগী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। তবে যারা গণহত্যা এবম মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের বিচারের সম্মুখীন করা হবে।’ ইউনূসের ওই মন্তব্যেই সিঁদূরে মেঘ দেখে দেশে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখা পাকিস্তানের দালাল এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের গণহতআকারী জামায়াত ইসলামী এবং তার দোসর জাতীয় নাগরিক পার্টি সহ একাধিক সংগঠন।

সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালেই বাংলাদেশে ছড়িয়ে থাকা পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, শামান্তা শারমিন, হাসনাত আবদুল্লাহ, জামায়াত ইসলামীর আমীর শফিকুর রহমান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহমেদ মারুফ। ওই বৈঠকেই ফের আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য রাস্তায় নামার নির্দেশ দেওয়া হয় নাহিদ-শফিকুরদের। এমনকি পুলিশ ও সেনার সঙ্গে সঙ্ঘাতে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আগ্নেয়াস্ত্রের জোগান দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়। সেনাবাহিনী ধরপাকড় করলে জুলাই-অগস্টের আন্দোলনের মতোই বিক্ষোভকারীদের পাকিস্তানের দূতাবাসে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পরেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সুর চড়াতে থাকে জামায়াত ও তার দোসর জাতীয় নাগরিক পার্টি। এমনকি ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেশ কয়েকটি মিছিলও বের করে ‘রগ কাটা’ সংগঠন হিসাবে পরিচিত ইসলামী ছাত্র শিবির। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী একাধিক মুসলিম সংগঠন ও হিন্দু নিধন যজ্ঞের অন্যতম হোতা মামুনুল হকের মতো ধর্মের বেওসায়ীরাও হুঙ্কার ছুড়তে শুরু করেছেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘ধর্মবিরোধী’ অভিযোগে গ্রন্থাগার থেকে নজরুল-রবীন্দ্রনাথের বই লুট করল মৌলবাদীরা

করমর্দনের জন্য হাত বাড়ালেন মোল্লা ইউনূস, পাত্তাই দিলেন না ট্রাম্প

বদলের বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনের শহিদের কন্যার আত্মহত্যা

প্রথমবার ঢাকাই সিরিজে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গী চঞ্চল চৌধুরী

সীমান্তে যুদ্ধের পদধ্বনি, ঢাকা সফর বাতিল পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রীর

বাবাকে দিয়ে তোলা আদায়, কীর্তি ফাঁস হতেই ক্ষমা চাইলেন ইউনূসের যুব উপদেষ্টা

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর