নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ভারতের আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কব্জায় থাকা আর্থিক ঠগ প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারকে ফেরত পেতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন। পাশাপাশি ইন্টারপোলের বাংলাদেশ শাখা ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ভারতে ইন্টারপোলের নোডাল এজেন্সি হিসেবে দায়িত্বপালনকারী ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর কাছে চিঠি পাঠিয়ে পি কে হালদারের গ্রেফতার নিয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
গত শনিবার বিশেষ অভিযান চালিয়ে পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর থেকে ইডির আধিকারিকরা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া কুখ্যাত ঠগ পিকে হালদারকে গ্রেফতার করেছে। তবে ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও তথ্য জানানো হয়নি। যার ফলে কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ বিদেশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরা। নয়াদিল্লির গযংগচ্ছ মনোভাব দেখে পিকে হালদার সম্পর্কে যেচেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ভারপ্রাপ্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ইন্টারপোলের মাধ্যমে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা রেড অ্যালার্ট নোটিশ হিসেবে গোটা বিশ্বে জারি করা হয়েছে। ফলে তাকে ফেরত পেতে ইন্টারপোল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। তাকে যাতে দ্রুত দেশে ফেরানো যায়, তা নিশ্চিত করা হবে। পিকে হালদারের যেসব সম্পদের তথ্য আমরা পাচ্ছি, তা আরও সুনিদিষ্ট করে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটকে (বিএফআইইউ) ব্যবহার করা হবে। পাশাপাশি ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসকেও ব্যবহার করা হবে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককেও চিঠি দেওয়া হচ্ছে। আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে তাকে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। ফলে সমস্যা হবে না বলেই মনে করছি।’