নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) দশা-ই কী অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের (Bangladesh) ভাগ্যে? বুধবার বিকেল থেকেই সাধারণ মানুষের মনে এই প্রশ্ন উঁকি দিতে শুরু করেছে। কেননা, দেশে মাত্র ৩০ দিন চলার মতো ডিজেল (Diesel) মজুত রয়েছে। আর অকটেন (Octane) ও পেট্রল (Petrol) মজুত রয়েছে মাত্র ১৮ দিনের। তার পরে কী হবে, সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা শুরু হয়েছে। জ্বালানি তেলের রসদ যেমন ফুরিয়ে আসছে, তেমনই ডলারের দাম যেন পাগলা ঘোড়া হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার যেখানে এক ডলারের দাম ছিল ১১৫ টাকা। তা এদিন বেড়ে হয়েছে ১২০ টাকা। যদিও শ্রীলঙ্কার মতো দশা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
গত মাসখানেক ধরেই দেশে তীব্র জ্বালানি সঙ্কট (Fuel Crisis) দেখা দিয়েছে। জ্বালানির অভাবে যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি হচ্ছে, তেমনই ঘন্টার পর ঘন্টা অন্ধকারে ডুবে থাকছে দেশের একাধিক জেলা। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রচণ্ড ধাক্কা খাচ্ছে। যদিও জ্বালানি সঙ্কটের জন্য রুশ-ইউক্রেনের যুদ্ধকে কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Prime Minister Sk Hasina)। গত শুক্রবারই লোকসান সামাল দিতে জ্বালানি তেলের দাম এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়ানো হয়। প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকা এবং অকটেন প্রতি লিটার ১৩৫ ও পেট্রল ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এদিন বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (Bangladesh Petroleum Corporation) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ (A B M Azad) জানান, দেশে আর মাত্র ৩০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে আর ১৮ দিনের অকটেন-পেট্রল মজুত রয়েছে। ডিজেলের দাম বাড়ানোর পরেও প্রতি লিটারে ৬ টাকা করে লোকসান গুণতে হচ্ছে।